গেণ্ডারিয়ায় শতবর্ষী পুকুর ‘দখল করে’ দোকান ও কাউন্সিলর কার্যালয়, সংরক্ষণ চেয়ে রিট মামলা

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা রিট আবেদনে ‘পুকুর দখলের’ সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2023, 02:04 PM
Updated : 4 June 2023, 02:04 PM

পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় রাজউকের শতবর্ষী পুকুর দখল করে মার্কেট ও কাউন্সিলর অফিস নির্মাণ বন্ধ করার পাশাপাশি পুকুরটি সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ রোববার এ রিট আবেদন করেন।

সেখানে পুকুর দখলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে; বিবাদী করা হয়েছে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ সচিব, রাজউক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের।

পুকুরটি দখলের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে রাজউকও বলছে, দখলদারদের মামলার পর মামলা করায় তারাও পেরে উঠছে না। জনস্বার্থে পুকুরটি রক্ষায় সবার এগিয়ে আসা উচিত।

এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজউক ১৯৬৩ সালে গেণ্ডারিয়ায় ১৩ দশমিক ৫৭ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। এর মধ্যে দুই একরের একটি পুকুরও ছিল। পুকুরটির বয়স বর্তমানে প্রায় ১০০ বছর। সেই পুকুরটিই ব্যক্তিমালিকানাধীন দাবি করে এখন ভরাট করার প্রতিযোগিতা চলছে।”

গত ৩ জুন দৈনিক কালবেলায় ‘পুকুর দখল করে মার্কেট, কাউন্সিলরের অফিস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেখানে বলা হয়, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় ১৯৬৩ সালে ১৩ দশমিক ৫৭ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এর মধ্যে দুই একরের একটি পুকুরও ছিল। এলাকাবাসী খাওয়ার পানি সংগ্রহ থেকে ধোয়া-মোছাসহ নানাকাজে পুকুরের পানি ব্যবহার করতেন। পুকুর থেকে মাছও ধরতেন তারা।

“শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সেই পুকুরটি ব্যক্তিমালিকানাধীন দাবি করে প্রায় ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। চারপাশে ছোট ছোট মার্কেট, দোকান ও রিকশার গ্যারেজও গড়ে তোলা হয়েছে। দখল নিশ্চিত করতে পুকুরের একটি অংশ ভরাট করে নির্মিত দোতলা ভবন স্থানীয় ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানা আক্তারের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে দখল চললেও উচ্ছেদ না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।”

রাজউকের সম্পত্তি বিভাগের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, “পুকুরটি রাজউকেরই। এটি দখলে নেওয়ার জন্য প্রভাবশালীরা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলা এখনো চলছে। তবে গেজেটভুক্ত সম্পত্তি হওয়ায় পুকুরটি দখলে নিতে পারছেন না দখলদাররা। অবৈধ দখল উচ্ছেদে রাজউকের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সদিচ্ছা থাকলে এক ঘণ্টায় উচ্ছেদ করে পুকুরটি রাজউকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।”