পৌষের অর্ধেক পেরিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলায় শীতে জুবুথুবু অবস্থা হলেও রাজধানীতে নেই দাপুটে প্রভাব, ছিঁটেফোটা বৃষ্টির পর মৃদু বাতাসের সঙ্গে সকালে দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার।
শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকার অনেক জায়গায় ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। সড়কে ছুটে চলা যানবাহনগুলোকে হেডলাইটের সঙ্গে ফগলাইট জ্বালিয়ে খানিকটা ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরও শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছিল।
আগামবার্তায় বলা হয়, “মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান ও বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গ জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঘন কুয়াশার কারণে দূরের কিছু দেখা যাচ্ছিল না। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছিল, সেইসঙ্গে সতর্কভাবে রাস্তা পার হচ্ছিলেন পথচারীরাও। ঘন কুয়াশার এই অবস্থা পরবর্তী দুই দিনে সামান্য পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিলো তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে।
এর আগে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ডিসেম্বরের শেষ দিকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। কোথাও কোথাও একটি থেকে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার রাত ১টা থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুটে সবকটি ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। তবে কুয়াশা কিছুটা কমে আসলে সকাল সাড়ে ১০টায় আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম।
আরও পড়ুন-