র্যাবের অভিযানের পর কালোবাজারিদের ধরছে রেল পুলিশ।
Published : 06 Feb 2024, 10:11 PM
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী নুর আলম মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, এই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে টিকেট কালোবাজারি করে আসছিলেন।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, নুর আলম নিজের বুকিং আইডি দিয়ে সার্ভারে ঢুকে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনের টিকেট কেটে নিজের কাছে রেখে দিতেন। পরে কালোবাজারিদের কাছে সেই টিকেট সরবরাহ করার সময় লভ্যাংশসহ আসল টাকা বুঝে নিতেন।
এসব টিকেট কেনায় কালোবাজারি বা দালালদের সরবরাহ করা বিভিন্নজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হত বলে তথ্য দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
‘নিরাপদে এ কারবার চালিয়ে যেতে’ নুর আলম হোয়াটসঅ্যাপে কালোবাজারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন জানিয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার বলেন, এ বুকিং সহকারী ডিউটি শেষ করে বের হওয়ার পরপরই স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় চক্রের কাছে টিকেট বুঝিয়ে দিতেন।
সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয় জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, “আদালতে অপরাধ স্বীকার করে নুর আলম জবানবন্দি দিয়েছে।”
গত ২৫ জানুয়ারি কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় র্যাব অভিযান চালিয়ে টিকেট কালোবাজারি চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। সাধারণ যাত্রী সেজে, কখনো ভাড়াটে লোক নিয়ে কিংবা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বছরের পর বছর ধরে চক্রটি রেলের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল বলে র্যাবের ভাষ্য।
নূর ইসলাম গ্রেপ্তারের আগের দিন বিকালে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী রফিকুল ইসলামকে (৩০) একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়। তার কাছে বেশ কিছু ট্রেনের টিকেট, বিভিন্নজনের এনআইডি ও মোবাইল নম্বর সম্বলিত একটি তালিকা ও নগদ টাকা পাওয়া যায়।
রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, র্যাবের অভিযানের ধারাবাহিকতায় নূর ইসলাম, রফিকুল ইসলামের মত বুকিং সহকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।