বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়ে ‘নারাজি’ আবেদন দিতে ফের সময় নিয়েছেন তার বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা।
মামলার বাদী নূর উদ্দিন রানা জানান, নারাজি আবেদনের জন্য হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। নতুন একজন আইনজীবীর মাধ্যমে সেই আবেদন জমা দিতে আদালতের কাছে সময় চান তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক ওই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী তারিখ রাখেন।
একই আদালত ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার স্থায়ী জামিনও দিয়েছে এদিন।
এদিন মামলা থেকে বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানির দিন ধার্য ছিল।
ফারদিন হত্যা মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
সেখানে বলা হয়, “স্পেনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার বিমান ভাড়া সংগ্রহ করতে না পারা, ছোট দুই ভাইকে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ জোগানোয় সংগ্রাম করতে হওয়াসহ নানা কারণে হতাশা থেকে ফারদিন আত্মহত্যা করেন।“
বুয়েটের পুরকৌশলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন (২৪) বিতার্কিক ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে স্পেনের এক অনুষ্ঠানে তার যাওয়ার কথা ছিল।
তার এক মাস আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ফারদিন। বাবা-মার বড় ছেলে ফারদিন কোনাপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ফারদিন বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাকে বলে গিয়েছিলেন, পরদিন তার পরীক্ষা রয়েছে বলে রাতে বুয়েটের হলেই থাকবেন। পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরবেন।
কিন্তু পরদিন পরীক্ষায় তার অনুপস্থিত থাকার খবর জেনে খোঁজাখুজি করেও ছেলেকে না পেয়ে থানায় জিডি করেন নূরউদ্দিন রানা। তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ফারদিনের লাশ পাওয়া যায়।
এরপর ১০ নভেম্বর নূরউদ্দিন রানা হত্যা মামলা করেন। তাতে আসামি করেন বুশরাকে, যার সঙ্গে ফারদিন দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ছিলেন। তখন পুলিশ বুশাকে গ্রেপ্তার করে, হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে।
ফারদিন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন জানিয়ে পুলিশ এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে বুশরাকে জামিন দেয় আদালত।
পুরনো খবর