সোনা পাচারের দায়ে বিমানবালার ১০ বছরের সাজা

ইউএস বাংলার ফ্লাইটে মাসকাট থেকে আসার পর কেবিন ক্রু মৌসুমীর দেহ তল্লাশিতে মিলেছিল টেপ প্যাঁচানো ৮২টি সোনার বার।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2023, 10:30 AM
Updated : 23 Jan 2023, 10:30 AM

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় এক বিমানবালাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের সোনা পাচারের এ মামলায় আসামি বিমানবালা রোকেয়া শেখ মৌসুমীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, চার বছর আগের এই মামলায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস কারাবাস করতে হবে।

মামলার অপর তিন আসামি সোহেল খাঁ, আসাদুজ্জামান প্রকাশ ওরফে বাপ্পি ও ফরিদ হোসেন জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন বিচারক।

আইনজীবী শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, মামলার শুরু থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মৌসুমী রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এজলাসে উপস্থিত তার পরিবারের সদস্যদেরও কাঁদতে দেখা যায়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে মৌসুমীকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইউএস বাংলার বিএস ৩২২ ফ্লাইট ওমানের মাসকাট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর পর ওইদিন বিকেলে কেবিন ক্রু রোকেয়া শেখ মৌসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তল্লাশিতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে টেপ প্যাঁচানো ৮২টি সোনার বার পায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। সাড়ে ৯ কেজি ওজনের ওই সোনার আনুমানিক বাজারদর ছিল চার কোটি ১০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় ওইদিনই বিমানবন্দর থানার এসআই সফিকুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন একই থানার এসআই সফিকুল ইসলাম।

দুই বছর পর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার শেষে কেবল মৌসুমীকে দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার রায় দিলেন বিচারক।