এখনও ১০ হাজার হজযাত্রীর ভিসা আবেদন বাকি, সময় একদিনেরও কম

মন্ত্রণালয় বলেছে, এজেন্সির অবহেলার কারণে কারো হজযাত্রায় অনিশ্চয়তা দেখা দিলে তার দায় সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সিকেই নিতে হবে।

ফাইল ছবি।

চলতি বছর হজে যেতে ভিসা আবেদনের জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়; কিন্তু এখনো বাংলাদেশের ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসা আবেদন করা বাকি।

সোমবার দুপুর ১২টার পর ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ হয়ে যাবে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই হজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করে হলে হজে যাওয়া যাবে না বলে সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শনিবার দুপুরে লিড বা সমন্বয়কারী মূল এজেন্সিগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ওই সকর্কবার্তা দিয়েছে।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তার বরাত দিয়ে ওই চিঠিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, যে হজযাত্রীরা পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক তথ্য, হোটেল বা বাড়ি ও ফ্লাইটের তথ্য দিয়ে এখনও ভিসার আবেদন দাখিল করেননি, তাদেরকে ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে দাখিল করতে হবে।

“এরপরে প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ করে দেওয়ার পর আর কোনোভাবেই ভিসার আবেদন দাখিল করা যাবে না। ফলে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যেসব হজযাত্রীর ভিসার আবেদন দাখিল করা হবে না, তারা চলতি বছরে হজে যেতে পারবেন না।”

ফলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভিসার আবেদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব লিড এজেন্সিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করে মন্ত্রণালয় বলেছে, এজেন্সির অবহেলার কারণে কোনো হজযাত্রীর ভিসার আবেদন ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে দাখিল করা না হলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লিড এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।

তাদের অবহেলার কারণে কোন হজযাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হলে ওই সমন্বয়কারী এজেন্সি বা লিড এজেন্সির বিরুদ্ধে 'হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১' ও 'হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২২' অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৫৮০ জনের ভিসা ইস্যু হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার যাত্রীদের শতভাগ ভিসা হয়ে গেছে।

অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমে যেতে চাওয়া হজযাত্রীদের ৮৬ শতাংশের ভিসা হয়েছে। আর সর্বমোট ভিসা হয়েছে ৮৯ শতাংশ হজযাত্রীর।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজ হবে। গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট; যা শেষ হবে ৩১ মে।

এবারের হজের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন, শেষ ফ্লাইটটি আসবে ১০ জুলাই।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জনের হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ করবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫৪টি ফ্লাইটে ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ জন।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬৪ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ১৭ হাজার ৬৩৯ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গেছেন।

এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে দুজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজবাড়ীর ৭০ বছর বয়সী মো. খলিলুর রহমান সৌদি আরবে মারা গেছেন। আর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ৫৭ বছর বয়সী মো. ফরিদুজ্জামান মারা যান শুক্রবার।