ট্রেনে ছোড়া ঢিলে আহত রবিউলের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। রবিউল বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে চাকরির পরীক্ষা দিতে ঢাকায় আসার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন রবিউল (২৩)। ট্রেনটি টঙ্গী স্টেশন ছেড়ে তুরাগ সেতুতে ওঠার আগে বাইরে থেকে ছুটে আসা একটি পাথর তার ডান চোখে এসে লাগে। ঘটনার পরপরই চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারান তিনি।
বিমানবন্দর স্টেশনে আনার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠান হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রবিউলের চোখের সামনের অংশে রক্ত জমাট বেধেঁছে এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীর ভাষায় ‘হাইফেমা’ বলে থাকে। তার চিকিৎসার জন্য শনিবার একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে।
“রবিউলের চোখের জমাট বাঁধা রক্ত সরাতে চিকিৎসা চলছে, আমরা দেখছি রক্তটা ওষুধ দিয়ে ‘অ্যাবজর্ভ’ হয় কি না। যদি ‘অ্যাবজর্ভ’ না হয় তা হলে রক্তটা বের করতে হবে। এরপর চিকিৎসার পরের ধাপ কী হবে তা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানান, “রবিউল আশঙ্কামুক্ত বা তার ডান চোখে আবার স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে কি না, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।”
পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস। এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি।