‘বিশেষ বিবেচনায়’ বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, এবারই শেষ, সময় আর বাড়ানো হবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2024, 01:13 PM
Updated : 2 Feb 2024, 01:13 PM

হজের জন্য নিবন্ধনের সময় ‘বিশেষ বিবেচনায়’ চতুর্থবারের মত বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারিভাবে যারা হজে যেতে চান, তাদের নিবন্ধনের সময় ‘শেষবারের মত’ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন অথবা নির্ধারিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।

প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

তা না হলে এ বছর হজে যাওয়া যাবে না এবং প্রাথমিক  নিবন্ধনের সময় দেওয়া টাকাও ফেরত পাওয়া যাবে না।

এ বছর হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে সেই সময় আরো দুই দফায় ১৮ জানুয়ারি এবং পরে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন, বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন।

কিন্তু এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪ হাজার ১৬৫ জন এবং বেসরকারিভাবে ৭৫ হাজার ৬৯৭ জন হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ, নিবন্ধন হয়েছে কোটার ৬০ শতাংশের মত।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ হতে পারে। প্রতি বছরের মত এবারও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটো করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজে হজ করতে লাগবে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলোর সমিতি- হাব।

আগের বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

তাতে কুলাতে না পেরে প্রাক-নিবন্ধনকারী অনেকেই আর নিবন্ধন করেননি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, আটবার সময় বাড়িয়ে এবং একদিনের বিশেষ সুযোগ দিয়েও কোটা পূরণে ৬ হাজার ৭০৭ জন ঘাটতি থেকে যায়।