সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ সিটিতে ভোটের ভাবনা

সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করব, বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2023, 01:58 PM
Updated : 5 March 2023, 01:58 PM

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় রেখেছে নির্বাচন কমিশন, তার অন্তত দুই মাস আগে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ করার পরিকল্পনা হচ্ছে।

চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এই পাঁচটি নির্বাচন করতে চান বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

“সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে সিটি নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা। বছরের মাঝামাঝি করা যায় আগেও করা যায়। জুনের আগে আগে দুই একটা সিটি ভোট হবে৷ বাকিগুলো জুনের পরে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করব।”

পাঁচটি সিটি করপোরেশনে এক দিনে ভোট না করার কথাই ভাবছে ইসি।

আলমগীর বলেন, “(সব সিটির ভোট) এক দিনে হবে না। পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়ত দুই দিনে হতে পারে, তিন দিনে হতে পারে।

“এখন পর্যন্ত দিন-তারিখ ঠিক বা চূড়ান্ত কিছু হয়নি। যেগুলো আগে ম্যাচিউরড হবে, সেগুলো আগে হবে।”

এ বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ সিটি করপোরেশনের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়।

পাঁচ সিটির মধ্যে একটির নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে মার্চ থেকে, আবার আরেকটির নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরে।

আলমগীর জানান, পাঁচ সিটির মধ্যে সবার আগে গাজীপুর সিটি ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হবে ১১ মার্চ, ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তিনি বলেন, “ভোটের তফসিল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আমাদের। যেটা আলোচনা হয়েছিল গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি নির্বাচনগুলো সেগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে করতে হবে।”

সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না, তা বাজেট বরাদ্দের উপর নির্ভর করছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।

ইভিএম ব্যবহার নিয়েও সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রয়োজনীয় ইভিএম সরবরাহ ও যন্ত্রাংশ ভালো থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে ‘যথাসময়ে’ সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান আলমগীর।