শুক্রবার রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ডিবির লালবাগ বিভাগ।
Published : 23 Oct 2022, 10:50 PM
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার কোম্পানিটির পাঁচ কর্মীকে ছয়দিন করে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশের এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), মাহফুজ আলম ভূঁইয়া (৩১), এনামুল হক (২৭), অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন (২৯) ও হারুনুর রশিদ (৪০)।
মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার জসীম উদ্দিন জানান, রাজধানীর দক্ষিণখান থানা পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও: পুলিশ
বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে ধরা ৫ কর্মী; পরীক্ষা স্থগিত
শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলে তা স্থগিত করে সংস্থাটি। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ডিবির লালবাগ বিভাগ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি, প্রশ্নপত্র বিক্রির ২৫ হাজার টাকা এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র অনলাইনে লেনদেনের তথ্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও জড়িত। এ ঘটনায় নাম আসা সরকারি মালিকানার এয়ারলাইন্সটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, “প্রথম দিকে সাত লাখ, পরে দুই লাখে নেমে আসে প্রশ্নপত্রের দাম। শুধু তাই নয়, গরিব মানুষ যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের জমি এবং বাড়ি লিখে নেওয়ার জন্য নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করে এই চক্র, যার কয়েকটি উদ্ধার করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন বলেন, “যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন মর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকেন। চক্রটি এর আগেও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করার কথা স্বীকার করেছে।”