Published : 24 Apr 2024, 10:12 PM
এবার হজে যেতে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে দাবি করে এজেন্সি মালিকরা যেসব জটিলতার মুখে পড়েছেন সেগুলোর সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা, ই-হজ সিস্টেম হালনাগাদ ও ফ্লাইটের চূড়ান্ত সূচি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসহ চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় দেখা দেওয়া বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন এজেন্সির মালিকদের পক্ষে হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় এবার ‘অভাবনীয় কিছু জটিলতা’ সৃষ্টি হওয়ার কথা তুলে ধরে তার অভিযোগ, মনে হচ্ছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং মক্কা হজ মিশনের কিছু কর্মকর্তার অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এ জটিলতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এগুলোর দ্রুত সমাধান না হলে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে।
লিখিত বক্তবে তিনি বলেন, ১৮ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি সরকারের একটি চিঠির বরাতে জানানো হয়, আগামী ২৯ এপ্রিল হজ যাত্রীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে। এরমধ্যে আবশ্যিকভাবে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। এজেন্সির অবহেলার কারণে কারও হজে গমন অনিশ্চিত হলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ১০ ফ্রেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের আরেক চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি সরকারের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের আবাসন, ক্যাটারিং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রকার অনলাইন চুক্তি (সার্ভিস কোম্পানি, পরিবহন, ইত্যাদি) সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
হাবিবুল্লাহ বলেন, “হজ যাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার আগে অনেকগুলো কাজ শেষ করে ভিসা সাবমিট করতে হয়। এসব কাজ অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা ইস্যু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পত্র আমাদের মহাদুশ্চিন্তায় ফেলেছে এবং হাজিরাও চরম অস্থিরতায় দিনাতিপাত করছে।…এমন পরিস্থিতিতে হজ ব্যবস্থাপনায় সব প্রতিবন্ধকতা নিসনে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হসক্ষেপ কামনা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব হাজির মিনার জোন নির্ধারণ করে ই-হজ সিস্টেম আপডেট করাসহ আরও একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এরমধ্যে রয়েছে
>> ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা ও সব এজেন্সির হজযাত্রী অনুপাতে টিকেট নিশ্চিত করা।
>> মোয়াজ্জেমদের জন্য বারকোড ভিসার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
>> সরকারি ও বেসরকারি হাজিদের জন্য আনুপাতিক হারে বারকোড ভিসা বিতরণ নিশ্চিত করা।
>> দ্রুত সময়ে রিয়াল জমার ব্যবস্থা করা।
>> টিকা দেওয়ার দ্রুত ব্যবস্থা করা।
এসব জটিলতা নিরসন না হলে হজ এজেন্সিকে শাস্তির হুমকি দিলে সমস্যার সমাধান হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।