পলাতকদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ১২ মার্চ দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 04 Feb 2024, 04:17 PM
বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলম অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পলাতকদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ১২ মার্চ দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগভুক্ত আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তানভিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ এ মনিরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুর রহমান, সদস্য কাজী মাহমুদুন নবী, রফিকুল ইসলাম, ওয়ারদা ইকবাল ও ভবনটির সপ্তম তলার মালিক সেলিম উল্লাহ।
এদের মধ্যে আসামি ফারুক, তানভিরুল ও আমিনুর জামিনে এবং অন্যরা পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর ৩২ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। জীবন বাঁচাতে বিভিন্নভাবে বাণিজ্যিক এ ভবন থেকে নামার সময় দুর্ঘটনা ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২৬ জন প্রাণ হারান, আহত হন শতাধিক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় ৩০ মার্চ বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
তবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত হয়নি উল্লেখ করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আটজনকে অভিযুক্ত করে এ বছর ২২ জানুয়ারি আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন, যেখানে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, রূপায়ন গ্রুপ ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার পাম্প, জকি পাম্প, ফায়ার হাইড্রেন্ট, এবিসি ফায়ার এক্সটিংগুইসার, হিট ডিটেকটরসহ মোট ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড ২৩তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করেছে। নকশা অনুমোদন পরবর্তী সময়েও রাজউক এখানে মনিটরিং করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কোম্পানি পজেশন হস্তান্তর করায় ভবনটির সুপারভাইজ ও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব কোম্পানির ওপর বর্তায় না। কাজেই অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে নির্মাণ কোম্পানির কোনো অবহেলা পরিলক্ষিত হয় না।