শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল হাই কোর্টের রুলে।
Published : 10 Jul 2023, 04:27 PM
মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রব্বানী শরীফ। ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
‘গ্রামীণ কল্যাণ’ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে গত ৩ এপ্রিল রায় দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেন ইউনূস। তার আবেদনে ৩০ মে হাই কোর্ট শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে।
পাশাপাশি রুলও জারি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ওই রায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
মামলার বাদী শ্রমিকরা তখন হাই কোর্টের রায় স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ২২ জুন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি নিয়ে আদেশ দিল আপিল বিভাগ।
আইনজীবীরা জানান, মামলার বাদী শ্রমিকরা ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় পর্যন্ত কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয় বলে তাদের অভিযোগ।
শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিলে দিতে হবে। ওই লভ্যাংশ না পাওয়ায় প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে উকিল নোটিস পাঠান। তাতে সাড়া না পেয়ে তারা মামলা করেন।