নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় ওই ঘটনার বিচার চেয়েছেন ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর প্রতিনিধিরা।
Published : 25 Apr 2024, 03:06 PM
ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসা থেকে ‘পড়ে’ শিশু গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড' হিসেবে বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অনুসন্ধানে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় ওই ঘটনার বিচার চেয়েছেন ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর প্রতিনিধিরা।
‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবীর বলেন, “প্রীতি উরাং নামে আদিবাসী মেয়েটা তার নিজের এলাকায় না, তাদেরকে ব্রিটিশরা নিয়ে গেছে চা বাগানে, তাদের মানুষের সাথে, আমাদের সাথে কোনো সম্পর্ক থাকে না, একেবারে বন্দি একটা অবস্থায় তাদের রাখা হয়, সে ধরনের একটা অবস্থায় একটা শিশুকে নিয়ে এসে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাই বলব। যেভাবেই হোক, সে অ্যাক্সিডেন্ট হোক বা নিজ উদ্যোগে হোক, অথবা তাকে এমন অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে, যে তার জীবন চলে যায়। এটা মানা যায় না।
“আমার মনে হয় যে সময় এসেছে, আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে সবাই আমরা সোচ্চার হয়ে প্রীতি উরাংয়ের আমরা অবশ্যই তার সুষ্ঠু বিচার, নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সেই সাথে আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।”
তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনের একটা মূল্য আছে। একজন অতি শিক্ষিত, দায়িত্ববান ব্যক্তি, তার বাড়িতে এটা যদি ঘটে, তার মানে প্রত্যেকটা বাড়িতে অহরহ এটা ঘটতে থাকে, এটা আপনারা জানেন। এখানে আমরা এটা আর সহ্য করব না।”
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বহুতল ভবনের আট তলা থেকে পড়ে প্রীতি উরাং নামের ওই শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহ সহায়ক হিসেবে ছিল সে।
ভবনের নিচে তার লাশ মেলার পর স্থানীয়রা ‘প্রীতিকে হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ করে এলাকায় বিক্ষোভ করেন। প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তানিয়া গত ২২ এপ্রিল হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেও সৈয়দ আশফাক এখনও কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ অগাস্ট ওই বাসা থেকে পড়ে যায় ৭ বছর বয়সী শিশু গৃহশ্রমিক ফেরদৌসী। প্রাণে বাঁচলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।
ওই ঘটনায় মামলা হলেও সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেছেন ২ লাখ টাকায় আপসরফার মাধ্যমে।
বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত ২ এপ্রিল দেশের ১১৭ নাগরিকের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি। কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।”
একই দিনে ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে তাদের নির্বাহী সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানায়। তবে ডেইলি স্টার এর কারণ ব্যাখ্যা করেনি।
তবে সৈয়দ আশফাকের মা আনোয়ারা মাহবুব ১১৭ নাগরিবের ওই বিবৃতির নিন্দা জানানোর পাশাপাশি “অন্যায্য অনুমান, মিথ্যা প্রচার, তথ্যের বিকৃতি এবং ভুল ব্যাখ্যার” অভিযোগ এনেছেন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফারহা তানজীম তিতিল বলেন, “গৃহকর্মীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বারবার সরকারের কাছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি ও অনুরোধ জনানো হলেও বাস্তবে আমরা এর কোন প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মীদের নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা আমাদেরকে এর প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত, পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। ওই বাসার আরো কয়েকজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেই সকল ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা সোচ্চার।”
গত বছরের ঘটনার প্রসঙ্গ ধরে তিতিল বলেন, “সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছর অগাস্টে ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। পরপর ঘটে যাওয়া একই রকমের দুটি ঘটনা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে।
“গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত তেমন অনুসন্ধানী কিছু পাচ্ছিলাম না। ফলে আমরা সরেজমিনে এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, মোহাম্মদপুর, স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট হসপিটালে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন।”
তিনি বলেন, “সাত বছর বয়সী যে শিশুটি বেঁচে আছে, মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের লেবিয়া মাইনরা থেকে অ্যানাল পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই অপারেশনে অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন সৈয়দ আশফাকুল হকের বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার জনাব আদেল।
“শিশুটির মা-বাবাকে না জানিয়েই ওই অপারেশন করা হয়। ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তড়িঘড়ি করে পেশেন্টকে সরিয়ে নেওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সৈয়দ আশফাকুল হকের অফিসের লোকেরা হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।”
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “পড়ে যাবার আগেই দুই পায়ের মাঝে শিশুটি আঘাত পাওয়ার কথা বলেছে আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে। এই আঘাতটি কি? যার কারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল? আমাদের অনেক আশঙ্কা আছে। আমরা মনে করছি, এর অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আপনারা জানেন, ঘটনার পরে সৈয়দ আশফাকুল হকের পক্ষে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও আমরা সরেজমিনে গিয়ে জেনেছি ওই টাকাও মধ্যস্বত্বভোগীর ভোগে চলে গেছে।
“আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, যথাযথ তদন্ত হলে অভিযোগের সত্যতা মিলবে। তাই সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত, সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি আজকের সংবাদ সম্মেলনে।”
তিতিল বলেন, “হুবহু এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দুর্ঘটনা হতে পারে না। ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ মামলা দিয়ে হত্যা অপরাধকে আড়াল বা লঘু করা হচ্ছে, আমরা এমন আশঙ্কা করছি। আমাদের অনুসন্ধানে জেনেছি মৃত্যুর সময় প্রীতির বয়স ছিল ১৩ বছর (২০১৮ সালে ৭ বছর বয়সে প্রাক- প্রাথমিক স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়)। তার স্কুলের নথি হারিয়ে গেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
“একটি টিভি চ্যনেলে প্রীতিকে পরীক্ষাকারী একজন ডাক্তার বলেছেন, প্রীতির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ুপথের আকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বড়। দুর্গামণি বাউরি নামে ওই বাড়ির আরেকজন শিশু গৃহকর্মী জানিয়েছে, সৈয়দ আশফাকুল হক তাকে বেল্ট দিয়ে মেরেছে। তার মাথায় রক্ত জমে গিয়েছিল। প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। তারা পারিশ্রমিকও পেয়েছেন সামান্য।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “প্রীতি উরাং নামের শিশুটি পড়ে যাবার আগে মতান্তরে ১২/১৩ মিনিট ঝুলে ছিল। সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এলাকার বহু মানুষ এই ঘটনার সাক্ষী। আশপাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা উদ্দেশ্যমূলক বলে আমাদের মনে করার সঙ্গত কারণ আছে। কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।”
পড়ে যাওয়ার আগে প্রীতি উরাং ঝুলে ছিল, এই তথ্য কীভাবে জানা গেল, সেই প্রশ্ন করা হলে খুশী কবীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আপনারা প্লিজ একটু মোহাম্মদপুরে যান৷ এখানে আমাদের সাথে যারা আছেন, আমরা গেছি। গিয়ে দেখেন, লোকগুলো ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল কিনা, চিৎকার করেছিল কিনা। আমরা তো ঢাকায় থাকি, আমাদের পরিচিত তাদের প্রতিবেশী অনেকেই থাকে, তারা আমাদের জানিয়েছে কী ঘটেছিল।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’।
১. প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু বা হত্যার সুষ্ঠু স্বাধীন নিরেপক্ষ, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করা হলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হালকা করা হবে। এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কিংবা প্রয়োজনে উচ্চ বিচার বিভাগীয় নির্দেশনা দেবার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
৩. প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. আশফাকুল হকের বাসায় নির্যাতিত অন্য যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বেঁচে থাকা শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করতে হবে। প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।
৬. সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় তিনজন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোনো পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যায় না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শিশুদের উপর কোনো নির্যাতেনের যে দৃষ্টান্ত রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। সেই সাথে আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিচার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
৭. যে দারোয়ানরা বাড়ির মালিকের ইশারায় বা নির্দেশে প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকেও নিরপেক্ষ বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা এবং ভবনের ব্যবস্থাপক আব্দুল আদেলকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
৮. চা বাগান থেকে আনা শিশুদেরকে পাচার করা এবং যৌনদাস করার জন্য কোনো চক্র কাজ করেছে কিনা, সেটাও আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।
৯. শিশুশ্রম বিষয়ক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করার জোর দাবি করছি। শ্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করার দাবি করছি সরকারের কাছে। সেই সাথে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালায় গৃহে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
১০. ২০১৭ সালে আদালেতের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিযে গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে গৃহ শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রাণা দাশগুপ্ত, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, তবারক হোসেন, লেখক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, লেখক প্রিসিলা রাজ, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন ও কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।