পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর এক রোগীর মৃত্যু নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার উত্তরায় ওই হাসপাতালে অভিযানে যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
Published : 28 Feb 2024, 05:32 PM
লাইসেন্স না থাকায় উত্তরার হাই-কেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতালের কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর এক রোগীর মৃত্যু নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার উত্তরায় ওই দুটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অভিযানে যায়।
একই মালিক সেখানে দুটি ভবনে আদালা নামে দুটি হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে হাই-কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের লাইসেন্স থাকলেও হাই-কেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতালের লাইসেন্স ছিল না। সে কারণে হাই-কেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতালের কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. এহসানুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতালটি তারা গত দুই বছর ধরে চালাচ্ছেন। কিন্তু এটি চালানোর জন্য আলাদা লাইসেন্স দরকার যা তাদের নেই। সেজন্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কাল তাদের নোটিস দেওয়া হবে।”
তিনি জানান, হাসপাতালটি ১০০ শয্যার, সে হিসেবে এখানে ১০ জন চিকিৎসক থাকা দরকার। কিন্তু অভিযানের সময় সেখানে ছয়জন চিকিৎসক ছিলেন।
এছাড়া কিছু ত্রুটি থাকায় উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাই-কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মীর ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দুটি হাসপাতালের লাইসেন্স একসঙ্গে নেওয়া আছে। তবে তারা বলছেন আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে আমাদের হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন তা আমাদের জানাননি। তারা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে গেছেন, বলেছেন তাদের সিদ্ধান্ত কাল জানাবেন। পরে মিডিয়ায় দেখলাম হাসপাতালের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।”
হাই-কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর মঙ্গলবার শামীমা আক্তার মুন্নি নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
ওই নারীর ভাই অভিযোগ করেছেন, অস্ত্রোপচার যে চিকিৎসকের করার কথা ছিল তিনি করেননি। আরেকজন চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেছেন, যার ভুল চিকিৎসায় তার বোনের মৃত্যু হয়েছে।
পুরনো খবর...