বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, আইন অমান্য করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কেউ ঝামেলায় পড়লে কমিশন এর দায় নেবে না।
Published : 04 Apr 2024, 05:33 PM
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসি।
ভর্তির ক্ষেত্রে কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইন অমান্য করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঝামেলায় পড়লে ইউজিসি এর দায় নেবে না।
ইউজিসি বলছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এর মধ্যে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা, ফলাফল, সনদসহ অন্যান্য কার্যক্রমের আইনগত বৈধতা নেই বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সকল কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রেখেছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নানা জটিলতায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।
বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪টিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতি উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। বাকি ৩০ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য নেই।
গণবিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সনদে স্বাক্ষরকারী হবেন আচার্যের নিয়োগ করা উপাচার্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার ও কমিশন অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে ভর্তি হতে গণবিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ইউজিসি বলছে, কেউ অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে বা প্রোগ্রাম বাতিল হলে, অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায় ইউজিসি নেবে না।
শিক্ষার্থীদের সতর্ক করলেও ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ তালিকা গণবিজ্ঞপ্তিতে দেয়নি ইউজিসি। ওই তালিকার জন্য যোগাযোগ করা হলে কমিশনের পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ওমর ফারুক বলেন, “ওয়েবসাইটে যা আছে, তাই। এর বাইরে কিছু নাই।”