ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের মামলার রায় ২১ জুন

এর আগে ঘুষের মামলায় তার ৩ বছরের জেল হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2023, 01:24 PM
Updated : 5 June 2023, 01:24 PM

পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার রায় হবে ২১ জুন।

সোমবার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম রায়ের এ দিন ঠিক করেন।

মিজানুরের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ দিন মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়।

আসামি মাহমুদুলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ সাক্ষীই মাহমুদুলের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। সুতরাং তার খালাস পাওয়ার কথা।”

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি লড়ছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে সোমবার পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেন বিচারক।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এটি ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেয়।

মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন।

তবে দুদক অনুসন্ধান শুরু করলে সে টাকা ভাঙ্গিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।

অভিযোগে বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

এ মামলায় মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।

তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানুর রহমানকে।

তার বৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলার মধ্যেই দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আরেকটি মামলা হয়। সেই মামলায় মিজানের ৩ বছরের এবং বাছিরের ৮ বছরের সাজার রায় দিয়েছে আদালত।