দুই সিটিতে দেওয়া হয়েছে সোয়া দুই লাখ ব্যাগ।
Published : 26 Jun 2023, 08:58 PM
এবার কোরবানির পশুর বর্জ্য ৮ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাতে সময় চাইছে ২৪ ঘণ্টা।
দুই সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য এবং হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকার দুই সিটিতে এবার ১০টি করে ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। ঢাকায় পাশাপাশি জবাই করা কোরবানির পশুর বর্জ্যও ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে অপসারণ শুরু হবে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, কোরবানির পশুর হাট এবং কোরবানির পশু জবাইয়ের পর সৃষ্ট বর্জ্যের ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম তদারক করতে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিবহন বিভাগ ও যান্ত্রিক বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অন্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল হয়েছে।ডিএসসিসির বর্জ্যবাহী ট্রাক, পে-লোডার, ব্যাকহো-লোডার, পানিবাহী গাড়িসহ ৩৫৭টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রাজউক এবং সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, সওজ থেকে ২৪টি ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, সিটি করপোরেশনের ৫ হাজার ৩০০ কর্মীসহ ৮ হাজার ৯৩০ জন কর্মী হাট এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে। হাট ও সড়ক জীবাণুমুক্ত করতে ৩২ হাজার ৫০০ টন ব্লিচিং পাউডার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য রাখার জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ত্রিশ হাজার ব্যাগ।
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরের দুইদিনসহ মোট চারদিন বর্জ্যবাহী ট্রাক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার করবে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত কোরবানির ঈদে ডিএসসিসি এলাকা থেকে ২০ হাজার ৬০০ টনের বেশি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছিল। এবার ২২ হাজার টন বর্জ্য হবে বলে ধারণা করছে ডিএসসিসি।
“এবার কিছুটা বাড়তে পারে। আশা করছি আমরা এই সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে পারব। গত বছর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের টার্গেট ছিল। এবারও আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই শহর পরিচ্ছন্ন করা যাবে।”
ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কমকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ২১১৭ কর্মীসহ ১০ হাজার ৩১২ জন কাজ করবেন। বর্জ্য অপসারণ কাজে ব্যবহার হবে বিভিন্ন ধরনের ৪১১টি যানবাহন।
এবার বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ৯ লাখ পলিব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ পিস বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তা এবং হাট এলাকার পরিচ্ছন্ন করতে ৬৮ টন ব্লিচিং পাউডার, ৪ হাজার ৫০০ লিটার স্যাভলন এবং ১ হাজার ৬০০ লিটার ফিনাইল ছিটানো হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় কতগুলো পশু জবাই হবে, তার সঠিক হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। গত বছর কোরবানির ঈদের তিনদিনে ৫০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছেন তারা। এ বছরও বর্জ্যের পরিমাণ কাছাকাছি হবে।
“গত বছর বেলা ৩টায় বর্জ্য অপসারণ শুরু করে ১১ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছিল। এবার আরও আগে অপসারণ করতে পারব বলে আশা করি।”