ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানগুলোর মধ্যে বনানী কবরস্থানে ২৫ বছর মেয়াদে কবর সংরক্ষণের ফি দেড় কোটি টাকা; আর ১৫ বছর মেয়াদে এই ফি এক কোটি টাকা।
Published : 10 Feb 2023, 05:29 PM
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কবরস্থানে যারা স্বজনদের কবর সংরক্ষণ করতে চান তাদের নিরুৎসাহিত করতেই ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে সংস্কার করা কবরস্থান উদ্বোধনের সময় মেয়র এ কথা বলেন বলে ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তিনি বলেন, “ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে কবর দেওয়ার ফি বাড়ানো হয়নি; বরং কবর সংরক্ষণের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে। কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে।
“প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক আবেদন আসে কবর সংরক্ষণের জন্য। এভাবে কবর সংরক্ষণ করা হলে কবর দেওয়ার জায়গা কমে যাবে। আশা করছি, ফি বৃদ্ধির কারণে কবর সংরক্ষণের আবেদন অনেক কমবে এবং সাধারণ মানুষ কবর দেওয়ার সুযোগ পাবে।”
জনগণ সীমিত ফি-তে দাফনের সুযোগ পাচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে প্রত্যেকটি মৃতদেহ দাফন বাবদ রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৫০০ টাকা। দুঃস্থ, অসহায় ও বিত্তহীন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ফি মাত্র ১০০ টাকা। এ ছাড়া কেউ যদি একশো টাকাও পরিশোধ করতে অপারগ হয়, তার জন্য বিনামূল্যে দাফনের সুযোগও রয়েছে।”
ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানগুলোর মধ্যে বনানী কবরস্থানে কবর সংরক্ষণের ফি সবচেয়ে বেশি। ২৫ বছর মেয়াদে সেখানে কবর সংরক্ষণের ফি নির্ধারণ রয়েছে দেড় কোটি টাকা। ১৫ বছর মেয়াদে এই ফি এক কোটি টাকা।
অন্যদিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ২৫ বছর মেয়াদে কবর সংরক্ষণের ফি ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা, আর ১৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণের ফি ৭৫ লাখ টাকা।
ডিএনসিসির ছয়টি কবরস্থানের মধ্যে রায়েরবাজার স্মৃতি সৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে কবর সংরক্ষণের ফি সবথেকে কম। সেখানে ২৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণের ফি ১৫ লাখ টাকা এবং ১৫ বছরের জন্য ফি দিতে হবে ১০ লাখ টাকা।
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কবরস্থান উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর। সাড়ে ৪ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে এই সংস্কার কাজ শেষ হয় গত বছরের ৩০ নভেম্বর।
শুক্রবার সংস্কার করা এ কবরস্থান উদ্বোধন করে কবরস্থানের স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান মেয়র। কবরস্থানের গাছ কেটে ফেলাকেও নিরুৎসাহিত করেন তিনি।
মেয়র বলেন, “নির্মাণকাজের জন্য গাছ কাটা যাবে না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, গাছ না কেটে কাজ সম্পন্ন করতে। আমরা সাধারণত একটি গাছ কেটে তিনটি গাছ লাগানোর কথা বলি। কিন্তু এখন বলছি, গাছ না কেটেই তিনটি গাছ লাগাবেন।”
কবরস্থান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়া জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।