বিতরণ সংস্থা বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহ কমেছে।
Published : 18 Oct 2022, 07:58 PM
ঢাকার বেশিরভাগ এলাকার জন্য মঙ্গলবার ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার লোড শেডিংয়ের সূচি দেওয়া হলেও কিছু কিছু এলাকায় দিনরাতের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎহীন থাকতে হতে পারে।
এ দিন শ্যামপুর এলাকাজুড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বলে জানিয়েছে ঢাকার একাংশের বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিপিডিসি।
শ্যামপুরের ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লোড শেডিংয়ের তীব্রতা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বার বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। সব মিলিয়ে তিন ঘণ্টাও বিদ্যুৎ ছিল কি না সন্দেহ।“
যোগাযোগ করা হলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারাদিন লোড শেডিং নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমরা ক্লান্ত। অথচ আমাদের বিতরণ এলাকায় চাহিদার তুলনায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম আসছে। চাহিদা ও যোগানের এতো বড় ফারাক আমরা সামল দেব কী করে?”
মঙ্গলবার ঢাকার ডিপিডিসি বিতরণ এলাকার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে ১৭০০ মেগাওয়াট। আর গ্রিড থেকে এ কোম্পানিকে ১২০০ থেকে ১২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
ডিপিডিসির সূচিতে দেখা যায়, শ্যামপুর ফিডারের আওতাধীন শ্যামপুর শিল্প এলাকা, চিতাশাল, খালপাড়, চিতাশাল, কুসুমবাগ, পূর্ব কদমতলী, দৌলতপুর, মেরাজনগরের নামাশ্যামপুর, দেলপাড়া বাজার, নিশ্চিন্তপুর, দোলেশ্বর, বৌবাজার, বৈরাগীরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যাবে। মঙ্গলবার পুরোটা সময় এভাবেই চলবে।
ঢাকার আরেক বিতরণ সংস্থা ডেসকোর বিতরণ এলাকা ইব্রাহীমপুরে ছয় ঘণ্টা করে লোড শেডিংয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে কাফরুল, পল্লবী এলাকায় ছয় ঘণ্টা করে লোড শেডিংয়ের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সংস্থাটির বাকি এলাকাগুলোতে পাঁচ ঘণ্টা করে লোড শেডিংয়ের সূচি রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে এই বিতরণ সংস্থার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “লোড শেডিংয়ের একমাত্র কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়া। ঠিকমত জেনারেশন ইউনিটগুলো সচল থাকলে এই পরিস্থিতি হত না। পিজিসিবি থেকে আমাদেরকে যে আভাস দেওয়া হয়, প্রকৃত সরবরাহ তার চেয়েও কমে যাচ্ছে।”