চোরাই মোবাইলের ‘এপার-ওপার’ কারবার, ঢাকায় ১০ ভারতীয় গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার ১০ ভারতীয়র মধ্যে আবার চারজনের পাসপোর্ট নেই।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2024, 03:00 PM
Updated : 7 March 2024, 03:00 PM

বাংলাদেশ থেকে ছিনতাই বা চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ভারতে নিয়ে গিয়ে আবার ভারতে চুরি বা ছিনতাই হওয়া ফোন এদেশে নিয়ে আসে, এমন একটি চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের ১০ জনই ভারতীয়।

চোরাই মোবাইল ফোন ছাড়াও চক্রটি ভারতীয় পণ্যের অবৈধ ব্যবসাও করছিল অনেকদিন ধরে।  

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার এবং বেশকিছু ভারতীয় মালামালও জব্দ করেছে।

গ্রেপ্তার ১০ ভারতীয় নাগরিক হচ্ছেন- রাজা সাঁউ (৩৯), পঙ্কজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইতি (২৫), সোনু বর্মন (২১), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১), সমরজিৎ দাস (৩০)  এবং বাংলাদেশি মো. মুরাদ গাজী (২৮)।

গ্রেপ্তার ১০ ভারতীয়র মধ্যে আবার চারজনের পাসপোর্ট নেই।

মধ্য বাড্ডা এলাকার একটি বাড়ির নীচতলা ভাড়া নিয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মুরাদ গাজী ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে অবৈধ এই কারবার করে আসছিলেন বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।

একটি আইফোন চুরির অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে চক্রটির খোঁজ পেয়ে অভিযানে যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি দল।

অভিযানের খবর পেয়ে দুপুরে বাড্ডা এলাকার ওই বাসায় যান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রায় প্রতিদিন মোবাইল চুরি অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে আইফোন চুরির অভিযোগ ভিআইপিদের কাছ থেকে আসছে।

“এসব অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির সন্ধান পাওয়া যায়, যারা দুই দেশে চোরাই মোবাইল ফোনের ব্যবসা ছাড়াও ভারতীয় পণ্যের অবৈধ ব্যবসা করে আসছে।”

ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, বাড্ডার ওই বাসা থেকে ভারত থেকে চুরি করে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, দুই দেশের মুদ্রা, বিপুল পরিমাণ ভারতীয় যৌন শক্তিবর্ধক বড়ি-জেল, প্রসাধনী, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা জব্দ করা হয়।

“আমরা তাদের কাছে এসব পণ্যের বৈধ কাগজ দেখতে চেয়েছি। কিন্তু তারা দেখাতে পারেনি,” বলেন এই ডিবি কর্মকর্তা।

মুরাদ গাজী তার এক বোনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন।

মশিউর রহমান বলেন, “কলকাতা থেকে মূলত ট্রেনে করে এসব মালামাল নিয়মিত আনা হয়। এসব মালামাল ছাড়াও তারা মদ-বিয়ারও নিয়মিত এনে থাকে। তবে সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে তারা কসমেটিক্স, কাপড়, জুতা মজুত করে।”