বাড়ির সামনে গৃহকর্মীর লাশ, বনশ্রীতে উত্তেজনা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

কীভাবে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2023, 06:09 AM
Updated : 31 Dec 2023, 06:09 AM

গৃহকর্মীকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর বনশ্রীর এক বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়েছেন উত্তেজিত এলাকাবাসী।

রোববার সকালে বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন রামপুরা থানার ওসি মশিউর রহমান সহ তিন পুলিশ সদস্য।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিতিঝিল বিভগের উপ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন গৃহকর্মী সেখানে মারা গেছেন। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে আমরা নিশ্চিত নই। বাড়ির সামনে তার লাশ পড়ে থাকায় উত্তেজিত জনতা সেখানে ভাঙচুর চালিয়েছে।”

স্থানীয়রা জানান, ভোরে হোসেন মঞ্জিল নামের ওই বাড়ির গেইটের সামনে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে জানা যায়, সেই নারী একজন গৃহকর্মী, তার নাম আসমা বেগম, বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর।  

তাকে হত্যা করা হয়েছে– এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। আশপাশের বাড়ির গৃহকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমজীবীরাও সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।  

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে লোকজন ঢিল ছুড়তে শুরু করে। তারা ওই বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর চালায় এবং নিচতলায় থাকা দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। সেই আগুন পরে বাড়ির বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

ওসি মশিউর রহমান বলেন, বাড়ির মালিক সাবেক ট্যাক্স কমিশনার দেলোয়ার হোসেন। তার ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান সকাল ৮টার পরে পুলিশকে ফোন করে খবর দেন, ওই গৃহকর্মী ‘ওপর থেকে পড়ে গেছেন’।

আসমা বেগম নামের ওই গৃহকর্মী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে কানিজ ফাতেমার মিরপুরের বাসায় থাকতেন। কানিজ ফাতেমা তিন দিন আগে গৃহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসেছিলেন।

ওসি বলেন, সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। আগে থেকেই কিছু লোক সেখানে জড়ো হয়ে ছিল, তারা বলছিল, মেয়েটিকে ‘মেরে ফেলা হয়েছে’।

“খবর পেয়ে আমি নিজেও সেখানে যাই। লোকজন তখন শান্তই ছিল। আমি হেলমেট হাতে তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, ওই সময় তারা ইট পাটকেল ছোড়া শুরু করলে আমিসহ তিনজন আহত হই।”