মানুষ আজ বুভুক্ষু: মঈন খান

“বাংলাদেশের মানুষ মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার- সেই অধিকার তারা প্রতিষ্ঠিত করবেই করবে,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2024, 03:15 PM
Updated : 3 March 2024, 03:15 PM

ক্ষমতা ‘দখলকারী’ সরকারকে একদিন জনগণের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেছেন, “তারা বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়েছে। বাংলাদেশে এই সরকারকে এই কথা স্বীকার করতেই হবে যে, তারা যদি একদিন বলে থাকে- তারা সোনার বাংলা তৈরি করতে চান, তারা যদি বলে থাকে- তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তাহলে তাদেরকে জনগণের ইচ্ছার কাছে আজ হোক কাল হোক নতি স্বীকার করতেই হবে।”

রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, “তারা (সরকার) যদি মনে করে, বুলেটের জোরে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে তারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন তাদের ভেঙে যাবে।

“আজকে একথা স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, মানুষের ভালোবাসা না পাওয়া গেলে… সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারে গায়ের জোরে, বন্দুকের জোরে, বুলেটের জোরে। কিন্তু এই পথে তারা কোনো দিন ইতিহাসের পাতায় স্থান করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ, ১৭ কোটি মানুষ তাদের সেই মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার- সেই অধিকার তারা প্রতিষ্ঠিত করবেই করবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, “আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এদেশের মানুষ আজ বুভুক্ষু। যে বাংলাদেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কী জবাব দেব?”

৩ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে এ আলোচনা সভা হয়। ১৯৭১ সালের এ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি আ স ম আবদুর রব বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।

আলোচনা সভায় পতাকা উত্তোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন রব। তিনি বলেন, “এই লড়াইয়ে ঔপনিবেশিক অপশাসন দূর করতে হবে। এরপর রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কার ও সংবিধান সংশোধন ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু, প্রদেশ ও স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নিরাপদ ও হুমকিবিহীন জাতীয় ঐকমত্যের এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিনির্মাণ করতে হবে।”

জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল হক প্রধান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া।