দুর্গম এলাকার ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সবাই মিলে শিখি’

শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাকে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক করবে এ প্রকল্প।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2022, 08:06 PM
Updated : 20 Nov 2022, 08:06 PM

দেশের দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সবাই মিলে শিখি’ নামের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ প্রকল্পে বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ১৮০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

দেশের নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে ‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রিসার্চ ট্রায়াঙ্গেল ইনস্টিটিউট ইন্টারন্যাশাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধি ক্যাথরিন ডি. স্টিভেনস এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এতে জানানো হয়, শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাকে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য ‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ও বিশেষায়িত শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হবে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও বিশেষায়িত শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হবে, যাতে তারা শ্রেণিকক্ষে থাকা সব স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যসূচির শিক্ষা দিতে পারেন।

নতুন এ প্রকল্পে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে এমন কিছু চ্যালেঞ্জ দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মা-বাবা, এলাকাবাসী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেনস বলেন, “প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করা এবং কোনও শিশু যেন তার চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ কারণে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ নতুন প্রকল্প শুরু করেছি।”