পাঁচ দিনের এই সফরে জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্তমহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৮০তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন তিনি।
Published : 18 Apr 2024, 03:50 PM
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে ব্যাংককে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঁচ দিনের এই সফরে জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্তমহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর হতে যাচ্ছে এটি। দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সফর উভয়দেশের জন্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এই সফরে তিনি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
ব্যাংককে শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ওইদিন থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন এবং রানী সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।
মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোট পাঁচটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করতে তারা কাজ করছেন। এর মধ্যে শুল্ক, জ্বালানি এবং পর্যটন খাতে সহযোগিতার তিনটি সমঝোতা স্মারক ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।
জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে এক প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতার কথা রয়েছে সেখানে।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
থাইল্যান্ডের হাতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানির সুযোগ থাকায় দেশটির সঙ্গে বরাবরই বড় রকমের বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকে বাংলাদেশ। এ কারণে বেশ কিছু পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধা চেয়ে আসছে সরকার।
ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১১৮ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির হিস্যা ৯ কোটির ডলারের মত।
২০২২ সালেও বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে পণ্য গেছে মাত্র ৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের; বিপরীতে আমদানি হয়েছে ১১৭ কোটি ডলারের পণ্য।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকার শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন।
পুরোনো খবর:
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারে নিতে কাজ চলছে: থাই রাষ্ট্রদূত