বেলা পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে ট্রেনগুলো যাত্রাপথেই থমকে দাঁড়ায়। লাইন মেরামত শেষে বেলা সোয়া ৪টার পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
Published : 04 Feb 2024, 03:43 PM
বৈদ্যুতিক গোলযোগে ঢাকার মেট্রোরেল চলাচল প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকায় ট্রেনের ভেতর এবং স্টেশনে স্টেশনে ভুগতে হয়েছে যাত্রীদের।
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ায় রোববার সকাল থেকেই মেট্রোরেলে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এর মধ্যে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ট্রেনগুলো হঠাৎ যাত্রাপথেই থমকে দাঁড়ায়। পরে জানা যায়, বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা থেকে এ জটিলতা।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (ইলেকট্রিক্যাল) মীর মনজুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলা পৌনে ৩টার দিকে উত্তরা সাউথ থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা দেখা দেয়। মেরামত শেষে তা আবার শুরু হয়েছে।”
এই সময়ে ট্রেন বন্ধ থাকায় স্টেশনে স্টেশনে ভিড় বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্টেশনের গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকে টিকেট কিনেও যাত্রা বাতিল করেন।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে ওঠার সবগুলো গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্টেশন থেকে বের হওয়ার পথ খোলা আছে।
মতিঝিলগামী যাত্রী সৈয়দ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক ঘণ্টা আগে টিকেট কিনেছি। কিন্তু ট্রেন আসছে না। শেষ পর্যন্ত টিকেট ফেরত দিয়ে এখন নেমে এলাম। কিন্তু টাকা ফেরত দেয়নি।”
কাজী শুভ্র নামে আরেক যাত্রী বলেন, “আমিও এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেন আসছে না অনেকক্ষণ ধরে। এজন্য নিচে নেমে এসেছি।”
এমআরটি পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মাহমুদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাজীপাড়ায় বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ আছে। স্টেশনগুলোয় অনেক যাত্রী জমে যাচ্ছিল। অনেক ধরনের রিউমার শোনা যাচ্ছিল এবং অনেক মানুষ স্টেশনে জড়ো হচ্ছিল। আমরা লোকজনকে মাইকিং করে বৈদ্যুতিক ত্রুটির বিষয়টি জানিয়েছি। পাশাপাশি তাদেরকে অনুরোধ করেছি স্টেশনে ভিড় না করতে।”
ঠিক কী ধরনের সমস্যা হয়েছে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএল এর জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম (সিগন্যালিং) সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেট্রোরেলের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন ট্রিপ করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এর আগে আখেরি মোনাজাত ফেরত যাত্রীদের চাপ সামলাতে না পেরে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনের ফটক এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। দুপুর ১২টায় স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করার ফটক বন্ধ করে যাত্রীদের পরের স্টেশনে যাবার অনুরোধ জানানো হয় মাইকে৷ তবে খোলা রাখা হয় বের হওয়ার ফটক।
মেট্রোরেলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে উত্তরা সেন্টার এবং দক্ষিণ স্টেশন থেকে টিকিট নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের৷
"হঠাৎ করে যাত্রীদের ঢল নামায় তাদের দাঁড়ানোর মত জায়গাও নেই৷ বাইরে আরো হাজার হাজার মানুষ।"
পরে বেলা ১টার দিকে স্টেশনের ফটক আবার খুলে দেওয়া হয় বলে জানান মহাব্যবস্থাপক (সিগন্যাল) নজরূল ইসলাম।