“কিছু লোক আছে যারা বিভিন্ন অপরাধ, অপকর্ম বা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়েছে, বা অবৈধ কাজের কারণে চাকরি হারিয়েছে- তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে,” বলেন তিনি।
Published : 14 Oct 2023, 10:05 AM
বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে অবস্থানকারী কতগুলো গোষ্ঠীর লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছে। তারা (সরকারের) কোনও ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখেন না বরং সব সময় শুধু সমস্যাই খুঁজে পান।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা লন্ডনে শেখ হাসিনার আবাসস্থলে তার সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে বাসস। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে রয়েছেন। মঙ্গলবার রওনা দিয়ে পরদিন তার দেশে আসার সূচি রয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদেশে অবস্থানকারী কতগুলো গোষ্ঠীর লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা বিভিন্ন অপরাধ, অপকর্ম বা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়েছে, বা অবৈধ কাজের কারণে চাকরি হারিয়েছে- তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে। তারা (সরকারের) কোনও ভালো ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখেন না বরং তারা সারা বাংলাদেশে সব সময়ে শুধু সমস্যাই খুঁজে পান।”
ডিজিটাল ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে সরব হয়ে এসব ‘ঘৃণ্য’ অপপ্রচার মোকাবিলায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যরা যেন দেশের মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার চালায়। সরকার এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচকদের সারা বাংলাদেশে ঘুরে দেখার অনুরোধও করেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্রামীণ বাংলাদেশে কোনো অভিযোগ নেই। আমি দাবি করতে পারি যে- বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নীত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে, আমরা তাদের উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট সব কাজ করব।”
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্য মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে এবং বেকারত্বের হার এখন মাত্র ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য সামরিক স্বৈরশাসক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ১৯৮০ সালে লন্ডন থেকেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন শুরু করেন।
তিনি বলেন, “২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্র বজায় রয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণেই আজ দেশ এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করছে। দেশের অভ্যন্তরে আগুন সন্ত্রাসের মতো স্থানীয় ও বৈশ্বিক উভয় সমস্যা কাটিয়ে, আমরা এখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার বাবা দেশের স্বাধীনতা এনেছেন এবং এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করা যাবে না। এই স্বাধীনতার সুফল দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আর এ জন্যই আমার সংগ্রাম।”
প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কথাও শোনেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বক্তব্য রাখেন। লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদসূত্র: বাসস
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: