শাহরিয়ার কবির আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার মা।
Published : 16 Feb 2023, 07:28 PM
মেট্রোরেল প্রকল্পের যে প্রকৌশলীর সন্ধানে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছিল, সেই শাহরিয়ার কবির নিজেই বাড়ি ফিরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার ছেলেকে ফিরে পেয়ে মা রাশিদা আক্তার সাহানা বলেছেন, তার ছেলে নিজেই অজ্ঞাতবাসে গিয়েছিলেন, সংবাদপত্রে খবর দেখে নিজেই ফিরে আসেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক সহকর্মীর বাসায় উপস্থিত হন শাহরিয়ার। খবর পেয়ে রাশিদা ওই বাসায় গিয়ে ছেলেকে নিয়ে আসেন।
ঢাকার এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের প্রকৌশলী শাহরিয়ার রোববার বিকালে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপো অফিস থেকে বেরিয়ে আর বাসায় ফেরেননি।
তার খোঁজ না পেয়ে রাশিদা তুরাগ থানায় জিডি করেন। পাশাপাশি এমআরটি প্রকল্পের তরফে উত্তরা ডিপোর সিকিউরিটি ম্যানেজার একরামুল কবির হাওলাদারও আলাদা জিডি করেন।
তার চার দিনের মাথায় নিজেই নিজের সন্ধান দিলেন শাহরিয়ার।
তিনি কোথায় ছিলেন বা কেউ ধরে নিয়ে গিয়েছিল কি না- জানতে চাইলে তার মা রাশিদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওকে কেউ ধরে নিয়ে যায়নি। ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াইছে। পরে যখন দেখছে, পত্র-পত্রিকায় উল্টা-পাল্টা নিউজ হচ্ছে, তখন তার মনে হয়েছে তার নামে তো বাজে প্রচার হচ্ছে। তখন সে দুপুরে তার কলিগ আরিফের ওখানে আসছে। খবর পেয়ে আমিও এখানে আসছি। আলহামদুলিল্লাহ, ও সুস্থ আছে, ভালো আছে।”
এমআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী নিখোঁজ
২৮ বছর বয়সী শাহরিয়ার অবিবাহিত। জিডি হওয়ার পর তার প্রেম নিয়ে কিছু জটিলতার খবর পেয়েছিল পুলিশ।
শাহরিয়ারের বাড়ি ফেরার খবর তুরাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদারও পেয়েছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে এখনও বিস্তারিত কথা হয়নি। আমরা জানার চেষ্টা করছি (তিনি কোথায় ছিলেন)।”
শাহরিয়ার এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) হিসেবে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ কৌশলে পড়াশোনা করেছেন। লালবাগের আজিমপুর টাওয়ারে পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকেন। তাদের বাড়ি রাজশাহীর নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার এলাকায়।
নিখোঁজের অভিযোগে জিডি হওয়ার পর তুরাগ থানার ওসি মওদুত বলেছিলেন, “ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাহরিয়ার কবির তার অফিস কক্ষ থেকে একা হেঁটে বের হন। অফিস কক্ষে তিনি তার নিজের মোবাইল ও ল্যাপটপটিও রেখে যান।”