দুই পদের নাম বদলে ‘পরমাণু শক্তি কমিশন’ বিল পাস

কমিশনের সচিব ও অর্থ উপদেষ্টা পদের নাম হবে পরিচালক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2022, 05:30 PM
Updated : 1 Nov 2022, 05:30 PM

পরমাণু শক্তি কমিশনের দুটি পদের নামের পরিবর্তন করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২২ সংসদে পাস হয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান মঙ্গলবার সংসদে বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন; পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের সংশোধনী, যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।

বিদ্যমান আইনে বলা আছে, পরমাণু শক্তি কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য সরকার একজন ‘সার্বক্ষণিক অর্থ উপদেষ্টা’ ও একজন ‘সচিব’ নিয়োগ করবে। নতুন আইনে দুটি পদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, সচিব শব্দের পরিবর্তে পরিচালক শব্দটি ব্যবহৃত হবে। বিলের এই সংক্রান্ত ধারায় শব্দগত পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, সরকার কমিশনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক একজন পরিচালক (অর্থ) ও একজন পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগ করবে।

মন্ত্রণালয়/বিভাগের সংযুক্ত দফতর/অধঃস্তন অফিসগুলোর সাংগঠনিক কাঠামোতে সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদ থাকলেও ওই পদের নাম পরিবর্তন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর নির্দেশনা দেয়।

এ পদের নামগুলো সচিবালয়ের বাইরে বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করা হয়। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এই পদের নামগুলো পরিবর্তন করার। এর অংশ হিসেবে এই দুটি পদের নাম পরিবর্তন করা হল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিল সংসদে

মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নিলে এবং প্লট বরাদ্দ নিয়ে তা বিক্রি বা ভাড়া দিলে শাস্তির বিধান রাখা ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

মঙ্গলবার বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৫৭ সালের বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন অ্যাক্ট রহিত করে এই আইনটি করা হচ্ছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এই আইনটি বিসিকের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি করপোরেশন থেকে ঋণ বা অন্য কোনো সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেন বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনকে কোনও প্রকারে মিথ্যা প্রতিবেদন গ্রহণ করতে প্ররোচণা দেন, তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কোনও ব্যক্তি করপোরেশনের কাছ থেকে শিল্পপার্ক বা শিল্পনগরীতে কোনও প্লট বরাদ্দ পেয়ে যদি ওই প্লট বা তার অংশবিশেষ অবৈধভাবে হস্তান্তর বা ভাড়া দেয় বা শিল্প কারখানা ছাড়া অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর দণ্ড সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।