সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনা: নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩

ওমরাহযাত্রীদের ওই বাসে ছিলেন ৪৭ জন, তাদের মধ্য বাংলাদেশি ছিলেন ৩৫ জন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
Published : 29 March 2023, 07:35 AM
Updated : 29 March 2023, 07:35 AM

ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবে আকাবা শারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আরও ৫ প্রবাসী বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সব মিলিয়ে ওই দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ার তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

নতুন করে পরিচয় পাওয়া ৫ জন হলেন– কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের রনি এবং কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

ওই বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত এবং তার মধ্যে বাংলাদেশি ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।

ওই আটজন হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া।

Also Read: সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: নিহত ওমরাহযাত্রীদের ৮ জনই বাংলাদেশি

Also Read: সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২০

সেহেলী সাবরীন বলেন, “ভিন্ন দেশি ১২ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।”

আহত যারা

দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ এবং হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া চারজন বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথাও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরার সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিখার জাকির মোল্লার ছেলের আফ্রিদি মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলের মো. রিয়াজ, কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন ও মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান, যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন এবং মো. সেলিম। মো. সেলিমের ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।

এর বাইরে আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী, এবং কুদ্দুস নামে ৪ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।