চলতি মেয়াদেই অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যে নামানোর লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

সরকারের চলতি মেয়াদের মধ্যেই দেশে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার একেবারে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে সারা দেশ উন্নত হবে এবং জনগণ তার সুফল পাবে।”

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। অতি দারিদ্র্যের হার নেমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

দুস্থ নারী, বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্ততা, বিধবা নারীসহ সমাজে অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সহায়তাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নারীরা সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি অংশগ্রহণ করছে।"

সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে ইমরুল কায়েস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। এই প্রচেষ্টার ফলে দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।"

সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে সেসব অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।"

সাক্ষাতের শুরুতে, বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, পেরু এবং ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রদূতরা বলেন, "তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।"

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।