এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশ খুলছে আগামী রোববার।
Published : 05 Oct 2023, 06:28 PM
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশ খুলছে আগামী রোববার; এই পথে অনুমোদিত যানবাহনগুলোকে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত টোল দিতে হবে।
বাহনগুলোকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে টোল হার নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ।
· শ্রেণি-১: প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল’, ১৬ সিটের কম মাইক্রোবাস এবং তিন টনের কম হালকা ট্রাক। এই বাহনগুলোকে টোল দিতে হবে ৮০ টাকা।
· শ্রেণি-২: ১৬ বা তার বেশি আসনের সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা।
· শ্রেণি-৩: ছয় চাকা পর্যন্ত মাঝারি ট্রাকের টোল ৪০০ টাকা।
· শ্রেণি-৪: ছয় চাকার বেশি অর্থাৎ বড় ট্রাকের ক্ষেত্রে টোল ফি হল ৪০০ টাকা।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের ওই অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন থেকে ওই অংশ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোহাম্মদ জুনায়েদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট তালিকার বাইরে কোনোকিছু চলতে পারবে না। যেমন- মোটর সাইকেল ও সিএনজি চলাচল করতে পারবে না এক্সপ্রেসওয়েতে।”
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মত দুই বা তিন চাকার বাহনের টোল হার নির্ধারণও করেনি সেতু বিভাগ।
যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দিন অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই টোল কার্যকর হবে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এ পর্যন্ত যত অবকাঠামো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সবচেয়ে বড়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
মূল উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প থাকবে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াচ্ছে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ২০১১ সালে হাতে নেওয়া এ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। তবে নানা জটিলতায় প্রায় এক যুগ পিছিয়েছে নির্মাণ কাজ।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ২ হাজার ৪১৩ কো ৮৪ লাখ টাকা। বাকি টাকা দেবে নির্মাতা থাইল্যান্ড ও চীনের তিন কোম্পানি।