নিজের নামের উচ্চারণের সঙ্গে যে এই পাখির নামের মিল রয়েছে তা অনুষ্ঠানে হাসিচ্ছলে তুলে ধরলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
Published : 08 Feb 2024, 10:16 PM
তথ্য যাচাই নিয়ে তরুণ সাংবাদিকদের একটি কর্মশালায় যোগ দিয়ে নিজের জায়গায় হাঁসের ছবি বসিয়ে হাসির খোরাক জুগিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মহাখালীতে বিওয়াইএলসির প্রধান কার্যালয়ে ওই কর্মশালার সমাপনীতে যোগ দিয়ে ভুল ও অপতথ্যের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করছিলেন তিনি।
বক্তৃতায় শেষ পর্যায়ে নিজের জীবনীতে পিটার হাসের জায়গায় স্যুট-টাই পরা হাঁসের ছবি দিলে কেমন হবে, তা স্ক্রিনে দেখান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তখন মিলনায়তনে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
এ সময় তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা কিছু মজা করতেই পারি… আপনি যদি একটি খবর দেখেন যে, যেটাতে বলা হচ্ছে- আমি আমার অফিসিয়াল জীবনীতে পোট্রেট পরিবর্তন করছি এবং এটা দেখতে এই রকম। এটা রাষ্ট্রদূত হাঁস নয়, এটা রাষ্ট্রদূত হাস।”
নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে হাঁসকে মিলিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
নিজের নামের উচ্চারণের সঙ্গে যে এই পাখির নামের মিল রয়েছে তা অনুষ্ঠানে হাসিচ্ছলে তুলে ধরলেন পিটার হাসও।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আয়োজনে তিন দিনের টেকক্যাম্প কর্মশালায় ৫০ জন তরুণ সাংবাদিককে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই, তথ্য যাচাই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো শেখানো হয়।
গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (জিওয়াইএলসি) ইনকরপোরেটেডের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো এ টেকক্যাম্পের আয়োজন করে।
কর্মশালার সমাপনী দিনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে নানা ভুয়া ও ভুল তথ্যের কারণে নিজের বিড়ম্বনায় পড়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন পিটার হাস।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নামে অন্তত ১০টি ভুয়া ফেইসবুক পেইজ, নিজের নামে ভুয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভুয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকার কথা তুলে ধরেন তিনি।
বিভিন্নজনের সঙ্গে বৈঠকের পর আলোচনা যে পত্রিকায় ঠিকভাবে আসে না বলেও অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন পিটার হাস।
তিনি বলেন, “এখানে আমি প্রায়শই দেখি, মানুষ আমার সঙ্গে বৈঠক করে যায় এবং আমি পরদিন পত্রিকায় দেখি, পিটার হাস এক্স-ওয়াই-জেড বলেছেন এবং আমি এমন কিছুই বলিনি।
“কেউ আমাদের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেক করে না এবং বলে না ‘আপনি কি সত্যি সত্যি এটা বলেছেন?’ অথবা ‘আপনি কী বলেছেন?’
“এটা একটা বড় উদাহরণ। কোনো কোনো সময় এটার ক্ষতিকর হয়।”
ভুয়া ব্যক্তির নামে প্রকাশিত বাংলাদেশে নিবন্ধ ও খবর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটা খুবই ক্রিটিক্যাল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রও এর থেকে বাইরে নই। মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে।”
গণমাধ্যম শিক্ষার ভবিষ্যৎ গঠনে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সৎ সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন পিটার হাস।
অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “একসঙ্গে আমরা শিক্ষা, অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার ও গণতন্ত্রের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারি।”