কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, সকালে রংপুর এক্সপ্রেস এবং দুপুরে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন কিছুটা দেরি করে ছেড়েছে।
Published : 03 Apr 2024, 04:23 PM
রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ঢোকার মুখেই বাঁশ দিয়ে কয়েকটি প্রবেশপথ বানানো হয়েছে। সেখানে হাতে টিকেট পরীক্ষা করার মেশিন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রেলের টিটিই কর্মকর্তারা। তাদের ওই মেশিনে টিকেট স্ক্যান করার পর তবেই যাত্রীরা ঢুকতে পারছন প্ল্যাটফর্মে।
আগাম টিকেটে ঘরমুখী মানুষের ট্রেনে করে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে বুধবার। এই যাত্রায় বাংলাদেশ রেলওয়ে 'টিকেট যার, ভ্রমণ তার' কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিন স্তরের পরীক্ষা শেষে তবেই যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দিচ্ছে।
টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে রেলওয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে।তাই অন্যবারের চেয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের চিত্র আলাদা।
বুধবার সকালের দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে খুব বেশি ভিড় দেখা যায়নি। তবে দুপুরের পর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
স্টেশনের প্রবেশমুখে টিকেট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা এএইচএম সাজ্জাদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনো টিকেট ছাড়াই স্টেশনে চলে আসছেন অনেকে। কেউ আসছেন অন্যের টিকেট নিয়ে।
"আজকে আমরা অনেকেকে জরিমানা করেছি, তাদের বুঝিয়েছি নিজের টিকেট নিজে নিজে নিয়ে আসার জন্য। পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। কালোবাজারিদের কোনো দৌরাত্ম নাই। খুব শৃঙ্খলার সঙ্গে যাত্রীরা যাচ্ছেন।"
রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রী হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান মাহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এবার অনলাইনে টিকেট কিনেছি। ফলে একটা ভোগান্তি কম হয়েছে। স্টেশনেও তেমন ঝামেলা নেই। শেষ পর্যন্ত রেলওয়ে এটা ধরে রাখতে পারলেই হয়।"
তবে বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ছাড়ে বেলা তিনটা ৪৫ মিনিটে।
কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সকালে রংপুর এক্সপ্রেস এবং সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন কিছুটা দেরি করে ছেড়েছে। ওই ট্রেন ঢাকায় এসেছে দেরিতে। এছাড়া আর সবকিছুই স্বাভাবিক।"
এদিকে বুধবার ঈদ শেষে ফিরতি ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রিও শুরু হয়েছে। এদিন পাওয়া যাচ্ছে ১৩ এপ্রিলের ফিরতি টিকেট।
রেলের ওয়েবসাইট ও টিকেট বিক্রির প্লাটফর্ম সহজডটকমে সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট পাওয়া গেছে। দুপুর ২টা থেকে বিক্রি হয় পূর্বাঞ্চলীয় ট্রেনের টিকেট। আগের মতই সব টিকেট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে।
বৃহস্পতিবার মিলবে ১৪ এপ্রিলের টিকেট, ৫ এপ্রিল বিক্রি হবে ১৫ এপ্রিলের টিকেট, ৬ এপ্রিল বিক্রি হবে ১৬ এপ্রিলের টিকেট, ৭ এপ্রিল বিক্রি হবে ১৭ এপ্রিলের টিকেট, ৮ এপ্রিল বিক্রি হবে ১৮ এপ্রিলের টিকেট এবং ৯ এপ্রিল বিক্রি হবে ১৯ এপ্রিল ট্রেন যাত্রার ফিরতি অগ্রিম টিকেট।
আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের সম্ভাব্য দিন হিসাব করে ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ১৩ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে ঈদের আগাম টিকেট বিক্রির সূচি ঘোষণা করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী।
সূচি অনুযায়ী গত ২৪ মার্চ থেকে ঘরমুখো মানুষের জন্য অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে রেল। ওই দিন দেওয়া হয় ৩ এপ্রিলের টিকেট। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৩০ মার্চ বিক্রি হয় ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করবে রেলওয়ে।
এবার ঈদের আগে সারা দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকেট বিক্রি হবে। ঈদ উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পুরনো খবর