আদালত ঘটনা তদন্ত করে আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Published : 03 Mar 2024, 07:46 PM
গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম কারাগারে এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রীর করা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেছে আদালত।
রোববার শুনানি শেষে সিনিয়র স্পেশাল জজ ও চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা বেগম এ আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী অজয় ধর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত ঘটনা তদন্ত করে আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মারা যাওয়া বন্দি রুবেল দে'র স্ত্রী পূরবী পালিত বাদি হয়ে বোয়ালখালী থানার ওসি, সিনিয়র জেল সুপারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।
মারা যাওয়া বন্দি রুবেলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরনদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে।
গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে নির্যাতন করে মৃত্যুর ঘটনায় ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর ১৫ (২) ধারায় মামলার আবেদন করা হয়েছিল।
আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানির দিন রাখেন এবং সেদিন বাদীর জবানবন্দি নেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন- বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আছহাব উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, এসআই এসএম আবু মুছা, এএসআই মাঈনুদ্দিন, এএসআই সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল ও আসাদুল্লাহ, এসআই রিযাউল জব্বার, থানার ডিউটি অফিসার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন, জেলার এমরান হোসেন মিয়া, ডেপুটি জেলার নওশাদ মিয়া, আখেরুল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন ও ইব্রাহীম এবং ওয়ার্ড মাস্টার।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি বিকালে নিজ বাড়ি থেকে রুবেল দে’কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মদ উদ্ধারের ভুয়া মামলা সাজিয়ে পুলিশ আবেদনকারীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়।
পরদিন রুবেলকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এসময় তাকে অসুস্থ অবস্থায় প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ ফেব্রুয়ারি রুবেলের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দেখা করতে গেলে মুমূর্ষু অবস্থায় হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এসময় তার ডান চোখের ভ্রুর ওপর কাটা জখম দেখতে পান।
৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে স্বামী রুবেলের মৃত্যুর খবর পান পূরবী পালিত।
গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ অবস্থায় রুবেলকে কারাগারে নেয়া হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাদীপক্ষের দাবি।
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দিন বলেছিলেন, আসামির বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধনও হয়েছিল। গত ২৭ জানুয়ারি তাকে মদসহ গ্রেপ্তার করে ২৮ তারিখে মামলা নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ২৮ জানুয়ারি কারাগারে নেয়ার পর ৫ ফেব্রুয়ারি আসামির মৃত্যু হয়েছে, ওখানে পুলিশের কী দোষ আছে?
কারাগারে বন্দির মৃত্যু: ওসি, জেল সুপারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন