দিনে ঠান্ডা অনুভূতি কম থাকলেও রাতে তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Published : 19 Jan 2024, 11:41 AM
মাঘের পঞ্চম দিনে ঘন কুয়াশা সরিয়ে টানা রৌদ্রজ্জ্বল দিনের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা কমে যাবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
এক সপ্তাহের কুয়াশাচ্ছন্ন দিন শেষ বৃহস্পতিবার দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকলেও পরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শীতের কষ্ট বাড়িয়েছে। তবে শুক্রবারও দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত রোদ খেলছে আকাশে; এতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কেটে গেছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, রংপুর ছাড়া সারাদেশেই রোদ উঠেছে।
“ঘন কুয়াশা, বৃষ্টিরও কোনো সম্ভাবনা নাই। রোদ যেহেতু বেড়েছে, শীতের তীব্রতা কমে যাবে। কুয়াশা কমবেশি থাকবে, তবে সেটি কেটে গিয়ে রোদ থাকবে। কিন্তু ব্যাপক কুয়াশা কমে যাবে।”
দিনে ঠান্ডা অনুভূতি কম থাকলেও রাতে তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। আর সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
আর ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে।
এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।
কুয়াশার কারণে বিমান, নৌযান এবং সড়কে যানবাহন চলাচলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
এদিকে শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটেখাওয়া এবং ছিন্নমূল মানুষ। ঠান্ডার নানা ধরনের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
দেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে জানুয়ারি মাসে। এ নিয়ম মেনেই চলতি জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই শীত পড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর উত্তুরে হিমেল হাওয়া ঠান্ডা বাড়িয়ে তোলে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও দেশজুড়ে তীব্র শীত বিরাজ করেছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।