সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ, যার অর্থ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা তদন্তে পাওয়া যায়নি।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি জমা হয়। তবে বুধবার খবরটি প্রকাশ পায়।
আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বর মামলাটি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা গত বছরের ১৭ মে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের কক্ষে তাকে আটকে ফেলে কর্মচারীরা। তারা অভিযোগ করেন, ওই কক্ষ থেকে সরকারি নথি সরানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
কয়েক ঘণ্টা ওই কক্ষে আটকে রাখার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রোজিনা। পরে এই সাংবাদিক তাকে নির্যাতনের অভিযোগও করেছিলেন।
রাতে রোজিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগ থানায়।
স্বাস্থ্য বিভাগ তখন ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে রোজিনার বিরুদ্ধে।
তবে রোজিনা ওই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। আর তার সহকর্মীরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে।
পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় রোজিনাকে।
দেশে-বিদেশে সাংবাদিকসহ অধিকারকর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ছয় দিন পর জামিনে মুক্তি পান রোজিনা।