“ই-ক্রয়প্রক্রিয়ায় একক দরপত্র পড়ার প্রবণতা বাড়ছে।”
Published : 15 Jan 2024, 05:21 PM
ই-জিপি বা অনলাইন দরপত্রের মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটার ব্যবস্থা চালুর এক দশক পরও সুষ্ঠু প্রতিযাগিতার পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণ। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলছে, ৫ শতাংশ ঠিকাদারই প্রায় ৩০ শতাংশ সরকারি কাজ পেয়ে আসছে।
‘বাংলাদেশে ই-সরকারি ক্রয়: প্রতিযোগিতামূলক চর্চার প্রবণতা বিশ্লেষণ (২০১২-২০২৩)’ শীর্ষক এক গবেষণা চালিয়ে তা দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে টিআইবি। সোমবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত ৯৯ শতাংশের দরপত্র মূল্য ২৫ কোটি টাকার নিচে। বড় চুক্তিমূল্যের দরপত্র এ প্রক্রিয়ার আওতায় আসেনি। অন্যদিকে শীর্ষ ৫ শতাংশ ঠিকাদারের কাজের হিস্যা প্রতি বছরই বাড়ছে, গড়ে প্রায় ৩০ ভাগ কাজের নিয়ন্ত্রণই এসব ঠিকাদারের হাতে।
গবেষণাপত্র উপস্থাপনের সময় টিআইবির কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ই-জিপি পোর্টালে থাকা ২০১২-২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৩টি ই-কার্যাদেশ তারা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ই-ক্রয় কার্যক্রমে ৪৬ ভাগ ক্ষেত্রে দরপত্র পড়ে চারটির কম। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এ হার ৬৫ ভাগ, যা ক্রয় প্রক্রিয়ায় কম মাত্রার প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত করে।
শীর্ষ ৫ শতাংশ ঠিকাদারের কাজের হিস্যা প্রতি বছরই বাড়ছে উল্লেখ করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গড়ে ২৬ ভাগের বেশি কাজ পাচ্ছে এসব বড় ঠিকাদার।
টিআইবি বলছে, ই-ক্রয়প্রক্রিয়ায় একক দরপত্র পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। ২০১২ থেকে ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬০ হাজার ৬৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে একক দরপত্রের মাধ্যমে। ৯২টি ক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানে একক দরপত্র পড়ার হার ৭৫ ভাগের বেশি এবং ৪ শত ১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের ৭৫ ভাগই পেয়েছে একক দরপত্রের মাধ্যমে।
ই-জিপি বাস্তবায়নের এক যুগে সরকারি বিভাগ, রাজনৈতিক প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ত্রিমুখী যোগসাজশ নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)