ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে সবশেষ শিশুটিকেও বাঁচানো গেল না।
এনআইসিইউতে প্রায় এক মাস থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালটির নবজাতক বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার সাবিহা সুলতানা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।”
হাসপাতালের গাইনি বিভাগে গত ১২ অক্টোবর অস্ত্রোপচার ছাড়াই একে একে পাঁচ শিশুর জন্ম দেন মানসুরা বেগম (২২)। তিনি নরসিংদী শিবপুর উপজেলার বান্দারদিয়া গ্রামের অটোরিকশার চালক মামুনের স্ত্রী। বিয়ের দুই বছর পর প্রথমবার সন্তান জন্ম দেন তিনি।
পাঁচ শিশুই মাত্র ২৬ সপ্তাহ বয়সে জন্ম নিয়েছিল। অপরিপক্ক হওয়ায় তাদের ওজন ছিল কম।
সাবিহা সুলতানা জানিয়েছিলেন, জন্মের পরপরই এক কন্যা সন্তান মারা যায়। অপরিপক্ক হওয়ায় অন্যদের অবস্থাও ভালো ছিল না। পাঁচজনের মধ্যে একজনের ওজন ছিল এক কেজি। বাকিদের ছিল তারও কম।
জন্মের পরেই এক শিশুর মৃত্যুর হলে বাকিদের এনআইসিইউতে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল। পরে তিন শিশু মারা যায়। বেঁচে থাকা সবশেষ শিশুটিকেও বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা।