চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসাবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
Published : 20 Jan 2024, 03:20 PM
অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসাগর এবং নদীগুলোকে রক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চুক্তিটির শিরোনাম মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন বা বিবিএনজে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮ তম অধিবেশনের ফাঁকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সনদ ‘ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি’র অধীনে চুক্তিটি সই হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসাবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ।”
বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, “কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না। তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত।
“বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জলবায়ু তহবিল থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে। প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার আবশ্যক।”
“জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে”, বলেও দাবি করেন মোমেন।
সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং, নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর প্রাতঃরাশ শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮ তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)