পরীমনির বিরুদ্ধে নাসিরের মামলায় প্রতিবেদন পেছালো

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের করা এ মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল আদালত। পরীমনিসহ তিনজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারক রাজীব হাসান আগামী ১২ মার্চ নতুন দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই নাসির উদ্দিনের এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিলেন বিচারক রাজীব হাসান। ওই বছরের ৬ জুলাই পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিলেন নাসির।

অপর আসামিরা হলেন- পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

সাভারের বিরুলিয়ায় বোট ক্লাবে ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন পরীমনি। এ বিষয়ে ফেইসবুকে পোস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে আসলে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

পরে পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

পরীমনির মামলায় বিচার চলাকালে জামিনে থাকা অবস্থায় নাসির উদ্দিন পরীমনির বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা সেদিন ক্লাবে ঢুকে মদ পান করে অর্থ পরিশোধ না করেই যেতে চাচ্ছিলেন। তিনি ওই রাতে যখন বোট ক্লাব ছাড়ছিলেন, তখন পরীমনি ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ তাকে ডেকে নেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি তার দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে তিনি মাথায় এবং বুকে আঘাত পান।

নাসিরের দাবি, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

অন্যদিকে সাভার থানায় পরীমনির করা ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ ছিল, পূর্ব পরিচিত তুহিন সিদ্দিকী অমি গত ৮ জুন রাতে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’  ও মারধর করেন।