নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

এক মাসের মধ্যে কমিটি শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2022, 12:20 PM
Updated : 28 Nov 2022, 12:20 PM

বেতন কাঠামো নির্ধারণে কমিটি গঠন ও ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর দেশব্যাপী কর্মবিরতির দুই দিনের মাথায় তা প্রত্যাহার করেছেন নৌযান শ্রমিকরা।

সোমবার বিকালে শ্রম ভবনে শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের পর ধর্মঘট তুলে নেওয়ার  কথা জানান নৌযান শ্রমিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুর রহমান।

নূন্যতম বেতন ১০ হাজার টাকা করাসহ ১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে শনিবার রাত ১২টা থেকে নৌযানে কর্মবিরতি শুরু হয়।

ধর্মঘটের কারণে রোববার ও সোমবার বিকাল পর্যন্ত পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ ছিল। এতে চট্টগ্রাম বন্দরেও পণ্য খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হয়। 

সোমবার শ্রম ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনের বৈঠক হয়।

সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটি, শিপিং করপোরেশন, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নৌযান শ্রমিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সভায় এক হাজার টনের বেশি জাহাজের শ্রমিকরা নভেম্বর থেকে ১২শত টাকা ভাতা পাবেন এবং এর চেয়ে বেশি পণ্যবাহী জাহাজের শ্রমিকরা ১৫শত টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।

বেতন কাঠামো গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার ওই কমিটির বৈঠক রয়েছে আর এক মাসের মধ্যে কমিটি শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করবে।

এ আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

সদরঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক পিএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পন্টুনে বিকালের দিকে লঞ্চ নেই। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে। এ ঘোষণা মাইকে দেওয়া হচ্ছে।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে

>> নৌযান শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

>> ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দিতে হবে।

>> বাল্কহেডের রাত্রীকালীন চলাচলের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে।

>> বাংলাদেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।

>> চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করতে হবে।

>> চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

Also Read: নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ