যুদ্ধাপরাধ: পলাতক দুই ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার

দণ্ড মাথায় নিয়ে এখনো পলাতক রয়েছেন একই মামলার আসামি সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2023, 05:21 AM
Updated : 31 Jan 2023, 05:21 AM

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান ও আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের কথা জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেসুর রহমান মুকুল। তাদের বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরান।

গত ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোখলেসুর ও নকিবসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়।

দণ্ড মাথায় নিয়ে এখনো পলাতক রয়েছেন অপর চার আসামি সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির।

তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিশাল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা এবং হিন্দুদের নিপীড়নের মত ছয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল যুদ্ধাপরাধের ওই মামলায়।

একাত্তরে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন ২০১৫ সালে ময়মনসিংহের আদালতে এ মামলা দায়ের করলে পরে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি শুরু হয় তদন্ত। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থা অনুসন্ধান কাজ শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়।

পরের বছর ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগে আসামিদের অভিযুক্ত করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ হয়।

এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি ছিলেন মোট নয়জন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। তারাসহ মোট তিনজন মামলার বিচার চলাকালে মারা যান। পরে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রশিকিউশনের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এ মামলায়। বিচারপক্রিয়া শেষে ছয় আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

আরও পড়ুন-

Also Read: ত্রিশালের ৬ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড