দেশে এখনও ১৮ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে যুক্ত বলে সরকারি হিসাবে উঠে এসেছে।
Published : 22 Nov 2023, 08:58 PM
সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের অবসান ঘটাতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শ্রম সচিব এহছানে এলাহী।
তিনি বলেছেন, সেই লক্ষ্যে পঞ্চম ধাপে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে শিশুশ্রম নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় শীর্ষক সেমিনারে শ্রম সচিব এ কথা বলেন।
দেশে এখনও ১৮ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে যুক্ত বলে সরকারি হিসাবে উঠে এসেছে।
শিশুশ্রম নিরসনে চতুর্থ ধাপে ২০১৮ সালে ২৮৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মাঝে কোভিড মহামারীর কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হলেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক মনোয়ার হোসেন।
এই প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ১১২টি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
শ্রম সচিব এহছানে এলাহী বলেন, “শিশুশ্রম সারা পৃথিবীর জন্য একটা সমস্যা। যারা আগামী দিনের ভবিষ্যত, তারা যদি অংকুরেই বিনাশ হয়, তাহলে জাতি গঠন হবে কীভাবে? আমরা এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে কাজ করেছি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সব খাত থেকে শিশুশ্রম দূর করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে সরকার। সেজন্য সরকার মেগাপ্রকল্প হাতে নিচ্ছে। এখানে কেবল নিরসন নয়, বরং শিশু শ্রমিকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
প্রকল্প পরিচালক বলেন, “নির্বাচিত শিশুদের ছয় মাসব্যাপী উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও চারমাসব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই সময় প্রতিটি শিশুকে মাসে এক হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। সেরা ১০ হাজার প্রশিক্ষিত শ্রমিকের প্রত্যেককে এককালীন সিডমানি হিসাবে ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।”
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে ২০০১ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত প্রায় দুই লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।