“তোমরাই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে; সেভাবেই আমরা দেশকে গড়তে চাই,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
Published : 04 Jun 2024, 09:07 PM
শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিশুদের কল্যাণে সরকার ডিজিটাল সিস্টেমের প্রসার ঘটাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, “এর কারণ প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে থাকবে কেন?
“তাদেরকেও সেভাবে একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলব। আর একচল্লিশের যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’, আজকের শিশু ও তরুণরাই হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনে মঙ্গলবার বিকালে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে বাসস জানিয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, “২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন আমাদের ঘোষণা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। সেজন্য আমরা স্কুলে-স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছি, কম্পিউটার ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।”
শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরাই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়তে চাই। সরকার শিশুদের সুরক্ষায় অনেক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করছে। বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছে, উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি দিচ্ছে।
“বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্যাশন ডিজাইন, অ্যারোস্পেস ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে আজকে স্বাক্ষরতার হার যা ২০০৬ সালে মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল, তা থেকে বর্তমানে ৭৬ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে।”
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও দুঃস্থদের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠনের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ মুজিব তো জনগণের ছিলেন। কাজেই ওই বাড়ির ওপর এখন আমাদের অধিকার নেই। সেখানে মানুষের অধিকার। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের একটি হলোগ্রামও করা হয়েছে।
“বাড়িটিতে সেই স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে, যেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বসবাস করেছেন এবং শেষে সপরিবারে তাকে নির্মমভাবে হত্যাও করা হয়েছিল। কাজেই সেই বাড়ি আমরা দুই বোন ব্যবহার করব না, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।”
অনুষ্ঠানে ৩০৪ শিশুর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি চিত্রশিল্পী হাশেম খান এবং স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।