“সেখানে আমাদের জানামতে কোনো বাংলাদেশি কাজ করেন না। মূলত ভারতীয় এবং নেপালিরা কাজ করে,” বলেন শার্জ দা অ্যাফেয়ার্স।
Published : 12 Jun 2024, 10:10 PM
কুয়েতে বিদেশি শ্রমিকদের বসবাসের এক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশি কারো হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য এখনও পায়নি দূতাবাস।
কুয়েত সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শার্জ দা অ্যাফেয়ার্স আবুল হোসেন বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কুয়েতে যে কোম্পানির ভবনে আগুন লেগেছে, সেখানে আমাদের জানামতে কোনো বাংলাদেশি কাজ করেন না। মূলত ভারতীয় এবং নেপালিরা কাজ করে।
“তারপরও ওই ঘটনায় বাংলাদেশিদের কেউ আছে কিনা, আমরা সেই ভবনে খোঁজখবর করেছি। বাংলাদেশি নার্সের মাধ্যমে হাসপাতালেও খোঁজখবর নিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ওই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর আমাদের কাছে নাই।”
স্থানীয় সময় বুধবার ভোররাতে কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকার ওই ভবনে আগুন লাগে। বাসিন্দাদের প্রায় সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। পুরো ভবনে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের।
মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন ভারতীয় শ্রমিক আছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। কুয়েতে ভারতের রাষ্ট্রদূত আহত শ্রমিকদের দেখতে হাসপাতালেও গেছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, একটি হাসপাতালে ৩০ জনের বেশি ভারতীয় শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে এবং আরও অন্তত ৭৪ জন শ্রমিক অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, আবাসন মালিকের ‘লোভ ও নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই’ এমন ঘটনা ঘটেছে।
কুয়েতের গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ভবনটিতে ১৯৬ জন শ্রমিক থাকতেন। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশই ঘুমের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।