বঙ্গবন্ধুর খুনি শাহরিয়ার রশিদের জামাতার ৭ বছর জেল

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘কটূক্তি’ এবং হত্যাকারীদের সমর্থন দিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ফুয়াদ জামানকে এই শাস্তি দিয়েছে আদালত। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2022, 12:23 PM
Updated : 29 Sept 2022, 12:23 PM

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের জামাতা ফুয়াদ জামানকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

চার বছর আগে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘কটূক্তি’ এবং হত্যাকারীদের সমর্থন দিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাকে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামি ফুয়াদ জামানকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান।

আদালতে উপস্থিত ফুয়াদ জামানকে রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

পেশায় স্কুল শিক্ষক ফুয়াদ জামান বঙ্গবন্ধুর খুনি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদের মেয়ে শেহনাজ রশিদ খানের স্বামী।

২০১৮ সালের ২৩ অগাস্ট ধানমণ্ডি মডেল থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পিয়াস।

 

এরপর ওই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করে।পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করে এবং আদালতের রায়ে প্রমাণিত হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে গত ১৫ অগাস্ট ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন ফুয়াদ। বিষয়টি জাতির পিতার প্রতি ‘চরম অসম্মান ও মানহানিকর এবং উসকানিমূলক’ বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

Also Read: বঙ্গবন্ধুর খুনি শাহরিয়ার রশিদের জামাতা গ্রেপ্তার

তদন্ত শেষে পুলিশ ফুয়াদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে গত বছরের ৬ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু হয়। মোট ৭ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক বৃহস্পতিবার ফুয়াদকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। তারপর  ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারের পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে; মামলার পর বিচার শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর ফের শ্লথ হয়ে যায় মামলার গতি।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দণ্ডিত সুলতান শাহরিয়ার রশিদসহ পাঁচজনের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।