এসব থানার মধ্যে আছে রংপুর রেঞ্জের ১১টি এবং খুলনা রেঞ্জের ১০টি।
Published : 09 Aug 2024, 10:34 PM
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ভারত সীমান্তে ২১টি থানার কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়েছে।
শুক্রবার বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এসব থানার মধ্যে আছে রংপুর রেঞ্জের ১১টি এবং খুলনা রেঞ্জের ১০টি।
প্রবল আন্দোলনের মধ্যে সরকার পতনের পর থানায় থানায় পুলিশেরও পর বেপরোয়া হামলা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা প্রাঙ্গণে ও ভেতরে থাকা সব কিছু। হত্যার শিকার হয় অনেক পুলিশ। এরপর থেকে পুলিশ কার্যত উধাও হয়ে যায়।
নতুন পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সবাই যোগ দেননি। দেশের সাড়ে ছয়শ থানার মধ্যে অর্ধেকের মত থানা এখনও ফাঁকা পড়ে আছে।
বেশ কিছু থানা পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়ে যাওয়ার কারণে পুলিশের পক্ষে কার্যক্রম শুরু করাও কঠিন।
পুলিশ না থাকায় দেশের আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। প্রতি রাতেই ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে মানুষের। এখানে সেখানে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, মানুষের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুট চলছে।
বিজিবি পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে, পুলিশের পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যের মাঝে অস্ত্র নিয়ে একাধিক বিজিবি সদস্য রয়েছেন। থানার ভেতরেও দায়িত্বরত কর্মকর্তার টেবিলের পাশে বিজিবি সদস্যদের দেখা যায়।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর রেঞ্জে দিনাজপুরের হাকিমপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি, রৌমারী, চর-রাজিবপুর, কচাকাটা ও ঢুষমারা থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও কলারোয়া, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও জীবননগর, মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবির সহায়তার জন্য নিকটস্থ বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে জরুরি মোবাইল সেবাও চালু হয়েছে।
এসব উদ্যোগের কারণে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নৌবাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলে ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, মনপুরা, চরফ্যাশন, দক্ষিণ আইচা, দুলারহাট, শশীভূষণ, বরগুনা সদর, বামনা, বেতাগী, আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, মংলা, রাঙ্গাবালী, খুলনা সদর, খালিশপুর, হরিণটানা, লবণচরা, কয়রা, দিঘলিয়া, দাকোপ, সন্দীপ, হাতিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।