জিল্লুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের তিনশ ছয়টি ইঞ্জিনের মধ্যে ১৬১টি মেয়াদোত্তীর্ণ। বাকী ২৩৩টি ইঞ্জিন সচল রয়েছে।
Published : 10 Jun 2024, 07:55 PM
রেলওয়ের মহাপরিকল্পনায় ২০৪৫ সালের মধ্যে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকায় ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় এমপি আলী আজমের প্রশ্নে এসব কথা জানান রেলপথ মন্ত্রী।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাব-স্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টুমাস তার্কিশ ইঞ্জনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানির সঙ্গে গত ১৬ জুলাই চুক্তি হয়েছে।
প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান জিল্লুল হাকিম।
জ্বালানি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহায়ক শক্তি ইউনিটের (এপিইউ) ৪০টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশ রেলওয়েতে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আলী আজমের আরেক প্রশ্নে জিল্লুল হাকিম বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা থেকে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
স্বতন্ত্র এমপি মুহাম্মদ সাইফুর ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, রেলওয়ের ছয় হাজার ৮৪০ দশমিক ৬১ একর জমি বেদখল আছে। যার মধ্যে পাকশিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৫ দশমিক ১২ একর, লালমনিরহাটে এক হাজার ৪৬৮ দশমিক ১০, চট্টগ্রামে ২১৬ দশমিক ৮৯ এবং ঢাকায় ১২০ দশমিক ৫০ একর ভূমি।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় এমপি ফরিদুন্নাহার লাইলীর প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের তিনশ ছয়টি ইঞ্জিনের মধ্যে ১৬১টি মেয়াদোত্তীর্ণ। বাকী ২৩৩টি ইঞ্জিন সচল রয়েছে।
মো. জাকারিয়ার লিখিত প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১২ লাখ মেট্রিক টন সুতা দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন সুতা ঘাটতি রয়েছে, যা আমদানি করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনিম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় আট বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে চার বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং বাকিটা আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পোশাক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন দিচ্ছে। পোশাক কর্তৃপক্ষ সেবা সহজীকরণের ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা দেশে নতুন নতুন বস্ত্র ও সুতা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছেন। ফলে রপ্তানির জন্য ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।
নানক আরও বলেন, বর্তমানে দেশে বার্ষিক বস্ত্রের চাহিদা প্রায় ৭ বিলিয়ন মিটার। স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের ঘাটতি নেই।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নে তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৪.৩২ লাখ বেল কাঁচা পাট উৎপাদিত হয়েছে এবং বার্ষিক রপ্তানি আয় ২০৪.১৭ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩-২৪ সালে কাঁচাপাট উৎপাদিত হয়েছে ৯৮.৫৬ লাখ বেল।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন এক প্রশ্নে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের অধীনে ২২টি জুট, দুটি নন-জুট মিলসহ মোট ২৯টি মিল রয়েছে। ২৫টি বস্ত্রকলের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।