বুধরাতে তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছেন মতিঝিল থানার ওসি।
Published : 16 Jan 2025, 03:54 PM
পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার এ ঘটনার রাতে হামলায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলেছে।”
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- আরিফ ও আব্বাস।
তবে এ দুইজনের বিস্তারিত পরিচয় ওসি বলেননি।
বুধবার রাতে ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দুইজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাতে নিজের ফেইসবুকে আসিফ নজরুল এ ঘটনার কয়েকটি ছবি দেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “এই ঘটনার অবশ্যই বিচার হবে। দুইজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে।”
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রাতে ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত হবে। আর রাজপথে কারও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি চলতে দেওয়া হবে না।”
তার আগে বুধবার সকালে পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম রাখা ও না রাখা নিয়ে মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সেখানে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ওই চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া অন্যপক্ষ।
সে ঘটনায় সাংবাদিক, নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টায় পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। পরে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও একইসময়ে পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়।
পুরনো খবর: